ওমর আইয়ুব খান (ফাইল ছবি)

পাকিস্তানে বিরোধী দলীয় নেতা হতে পারেন ওমর আইয়ুব খান। ইতোমধ্যেই ওমর আইয়ুবকে জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলনেতা হিসেবে স্পিকারের কাছে নাম জমা দিয়েছে পিটিআই-এসআইসি।

রোববার (১০ মার্চ) এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

ওমর আইয়ুব খান বর্তমানে পিটিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মোহাম্মদ আইয়ুব খানের নাতি। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ১০ বছর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আইয়ুব খান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআই-সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) জোট শনিবার জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের কার্যালয়ে নথি জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ওমর আইয়ুব খানকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করেছে।

এর আগে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সাথে জোট গঠনের ঘোষণা দেয় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হলেও দলীয় সমঝোতা অনুযায়ী পিটিআইয়ের প্রায় ৯০ জন এমএনএ পরে এসআইসিতে যোগ দিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত আসন বণ্টনে ভূমিকা রাখতে পারেন না। আর সে কারণেই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে যোগ দেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

দ্য ডন বলছে, এসআইসি প্রধান সাহেবজাদা হামিদ রাজা, এমএনএ আলী মোহাম্মদ খান, রিয়াজ ফাতিয়ানা, ডা. নিসার আহমদ জাট এবং অন্যান্যদের উপস্থিতিতে মালিক আমির ডোগার মনোনয়নপত্র জমা দেন।

পরে ডনের সাথে কথা বলার সময় ডা. নিসার আহমদ জাট বলেন, ‘পিটিআই সমর্থিত সকল সদস্য মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। আমার তথ্য অনুযায়ী, মেহমুদ খান আচাকজাইও নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। তবে জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল এবং বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মেঙ্গল এতে স্বাক্ষর করেনি।’

ডা. জাট আশা প্রকাশ করেন, আগামী ১৩ বা ১৪ মার্চ নির্বাচনের পরিবর্তে মনোনয়নের মাধ্যমে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা হবেন ওমর আইয়ুব খান।

এর আগে সম্প্রতি জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিক বিরোধী অন্যতম শীর্ষ নেতা ওমর আইয়ুবকে পার্লামেন্টে কথা বলতে দেননি। তখন সাবেক এনএ স্পিকার আসাদ কায়সার বলেছিলেন, ওমর আইয়ুব বিরোধী নেতা এবং তাকে কথা বলতে দেওয়া উচিত।

তখন স্পিকার তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, কোনও সদস্য/দল যদি সত্যিই ওমর আইয়ুবকে বিরোধীদলীয় নেতা মনোনীত করতে আগ্রহী হন, তবে একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে।

দ্য ডন বলছে, পাকিস্তানে এটা সংসদীয় ঐতিহ্য যে, যখনই বিরোধী দলের নেতা কথা বলতে চান, তাকে ঐতিহ্যগতভাবেই কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। বিরোধী দলের নেতা সাধারণত এনএ স্পিকারের সামনে তার বাম পাশে এবং সংসদ নেতার ডান পাশে বসেন।

তিনি পদাধিকার বলে ফেডারেল মন্ত্রীর মর্যাদা পান এবং একইসঙ্গে তিনি পৃথক একটি অফিসও পান যেখানে সাধারণত বিরোধী দলগুলো বৈঠক করে।

টিএম