আজ ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ‘বিশ্ব পেঙ্গুইন দিবস’। প্রতিবছর সারা বিশ্বে দিনটিকে পেঙ্গুইন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শীতপ্রধান দেশের সাদা-কালো রঙের মিশেলের এ প্রাণীটি বেশ মনোহর। 

প্রধানত দক্ষিণ মেরুর আশেপাশের অঞ্চলে পেঙ্গুইনের বসবাস। বরফশীতল সাগরবাসী এ প্রাণীদের শিকার ও সাঁতার কৌশল দুর্দান্ত। এরা মাছ শিকার করে খেয়ে থাকে। এদের পেটের দিক ধবধবে সাদা। বাকি অংশ কালো।

হাঁটতে খুব বেশি দক্ষ না হলেও এরা উপুড় হয়ে ডানা দুপাশে নেড়ে পিচ্ছিল বরফের ওপর দিয়ে এগিয়ে যায়। পরিবেশ রক্ষায় এদের অবদান অনস্বীকার্য। 

চলুন পাঠক পেঙ্গুইন দিবসে প্রাণীটি সম্পর্কে কয়েকটি অপ্রচলিত তথ্য জেনে আসি-
 
সাগরের প্রাণী হওয়ায় এরা সামুদ্রিক পরিবেশ সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি রয়েছে। এরা সেন্ডিনেল স্পিসিস হিসেবে পরিচিত। সাগরের গভীর জীবন, পরিবেশ ও রহস্য সম্পর্কে এরা বিজ্ঞানীদের ধারণা দিয়ে থাকে।  

পেঙ্গুইনরা পরিবেশের খাদ্যশৃঙ্খল ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এরা সাগরের বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করে থাকে এবং শৃঙ্খলের ভারসাম্য রক্ষা করে। এরা যেমন অনেক প্রাণীদের ভক্ষণ করে, এরা আবার অনেক প্রাণীর খাদ্য। এরা পরিবেশ থেকে হারিয়ে গেলে শৃঙ্খল ভেঙে গিয়ে ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পরিবেশিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে। 

পেঙ্গুইনের মল  পানি পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে। এছাড়া মাটিকে উর্বর করে। এদের মল মাটিতে পুষ্টি উপাদান বাড়িয়ে দেয়। ফলে মেরু অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্ভিদ জন্মাতে সাহায্য করে। এছাড়া সাগরের তলদেশে জন্মানো বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে এরা ভূমিকা রাখে। ভূমিকে উর্বর রাখতে হলে এদের সংরক্ষণ জরুরি। 

পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে এরা প্রথমে বুঝতে পারে এবং ইঙ্গিত দেয়। যা দেখে বিজ্ঞানীরা অনেক কিছুই বুঝতে পারেন। বরফশীতল মহাদেশের অভ্যন্তরীণ বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এরা অনুঘটকের কাজ করে। 

পেঙ্গুইন পর্যটনে ভূমিকা রাখে। প্রাণীপ্রেমী অনেকেই এদের দেখতে মেরুতে ছুটে যান। মেরু অঞ্চলের অর্থনীতির বিকাশে এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে পেঙ্গুইনের ভূমিকা অপরিসীম।

পেঙ্গুইন জলে ও স্থলে বাস করার জন্য বিশেষভাবে অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন করেছে। আর তাই এরা দুই পরিবেশেই টিকে থাকতে পারে।  

কেন পেঙ্গুইন উড়তে পারে না 

সাঁতারে এদের দক্ষতা বেশ। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সাঁতারের বিশেষ দক্ষতা থাকায় পেঙ্গুইন উড়তে পারে না। সাঁতারের জন্য এদের ডানা বিশেষভাবে অভিযোজিত। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পানিতে সাঁতার কাটে বলে ওড়ার মতো যথেষ্ট শক্তি এদের থাকে না। এছাড়া এদের ডানা আকারে ছোট।  

আরএইচ