ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীর হাতে আছে ৫৫ হাজার রুপি নগদ অর্থ। আর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে ২৬ লাখ ২৫ হাজার রুপি।

এখানেই শেষ নয়, শেয়ার মার্কেটেও আছে রাহুলের বিনিয়োগ। আর গত ৫ বছরে রাহুলের সম্পত্তি বেড়েছে ৫ কোটি। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে রাহুল গান্ধী যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, সেখানেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এবং টিভি নাইন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ২০ কোটি রুপির সম্পদ আছে। কিন্তু কেরালার ওয়েনাড়ে আসনে লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়নে জমা দেওয়া হলফনামা অনুসারে তার কোনো গাড়ি বা আবাসিক ফ্ল্যাট নেই।

হলফনামায় রাহুল গান্ধী প্রায় ৯.২৪ কোটি রুপির অস্থাবর সম্পদ ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৫৫ হাজার রুপি নগদ অর্থ, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৬.২৫ লাখ রুপি, ৪.৩৩ কোটি রুপির বন্ড এবং শেয়ার, ৩.৮১ কোটি রুপির মিউচুয়াল ফান্ড, ১৫.২১ লাখ রুপির সোনার বন্ড এবং ৪.২০ লাখ রুপি মূল্যের গয়না।

এছাড়া কংগ্রেসের এই নেতা ১১.১৫ কোটি রুপির স্থাবর সম্পত্তির মালিক। এর মধ্যে দিল্লির মেহরাউলিতে কৃষি জমিও রয়েছে। বোন ও কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রার সাথে এই সম্পদের সহ-মালিক তিনি।

রাহুল গান্ধীর গুরুগ্রামে অফিসের জায়গাও রয়েছে, যার মূল্য বর্তমানে ৯ কোটি রুপিরও বেশি। কৃষি জমি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হলেও অফিসের জায়গার বিষয়ে সেটি বলা হয়নি।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে রাহুল গান্ধী যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে দেখা গেছে, ৫৩ বছর বয়সী এই নেতা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন ন্যাশনাল সেভিং স্কিম, পোস্টাল সেভিং স্কিম ও ইন্সুরেন্স পলিসি রয়েছে, তাতে ৬১.৫২ লাখ রুপি রেখেছেন। গোল্ড বন্ডও রয়েছে রাহুলের। ঋণের বোঝাও রয়েছে এই কংগ্রেস সংসদ সদস্যের ঘাড়ে। ৪৯.৭ লাখ রুপির ঋণ রয়েছে রাহুলের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, রাহুলের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী- ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাহুল গান্ধীর উপার্জন ছিল ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮০ রুপি। সোনিয়া পুত্রের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১১.১৪ কোটি রুপি, অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৯.২৪ কোটি রুপির। সব মিলিয়ে রাহুলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি রুপিরও বেশি।

২০১৯ সালে যখন লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলন রাহুল, সেই সময়ে তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি রুপি। অর্থাৎ ৫ বছরেই ৫ কোটি রুপি সম্পত্তি বেড়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, রাহুল গান্ধীর নিজস্ব কোনও গাড়ি নেই।

হলফনামায় রাহুল গান্ধীর নামে কী কী পুলিশি অভিযোগ ও মামলা রয়েছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে। এক নির্যাতিতার পরিবারের মুখ প্রকাশ্যে আনার জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রয়েছে।

এছাড়া একাধিক মানহানির মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

টিএম