ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণের অভিঘাত প্রবল। কিন্তু তুলনামূলকভাবে মৃত্যুর হার অনেকটা কম। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ জানাচ্ছেন, আক্রান্তদের প্রায় ৯৯ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠছেন। মৃত্যুর হার এক শতাংশের সামান্য বেশি। কিন্তু এতেই দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতি সামনে এসেছে।

সামগ্রিকভাবে এমন এক বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কটের সময় যাকে যথেষ্ট ‘আশাব্যঞ্জক পরিসংখ্যান’ হিসেবে দাবি করছেন তারা। 

তারা বলছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার নতুন ধরন। ক্রমাগত জিনের বিবর্তনের মাধ্যমে এগুলো অনেক বেশি সংক্রামক হয়ে উঠছে। কিন্তু নতুন ধরন আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান ঘেঁটে এমনটা বলা যাবে না। 

সামগ্রিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় সংক্রমণের প্রথম পর্বের তুলনায় মৃত্যুর মোট সংখ্যাও বেশি হচ্ছে। তবে এপ্রিলের শেষ পর্বে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও তিনটি অতি সংক্রমিত অঞ্চলে (হটস্পট) কিছুটা হলেও ‘স্থিতাবস্থা’ দেখা দিয়েছে।

এই তালিকায় ভারতে মহামারির প্রকোপে সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র এব জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি ছাড়াও রয়েছে ছত্তীসগড়। মনে করা হচ্ছে, ভারতের করোনার প্রকোপ ছড়ানো এ তিন এলাকায় দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছনোর পরই এই ‘স্থিতাবস্থা’।

ভারতে সোমবার নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৮১২ জন। সামগ্রিক হিসেবে আক্রান্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ছাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ মৃত্যুর হার ১.১২ শতাংশ।

এএস