ভারতে ঘরেও মাস্ক পরার নির্দেশ সরকারের
মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবার নিজ বাড়িতে ঘরের মধ্যে মাস্ক পরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদি সরকারের নির্দেশ, সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির বাইরে তো বটেই, ঘরের মধ্যেও মাস্ক পরতে হবে।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাড়িতে বাইরের কাউকে না ডাকা এবং অযথা বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা নিয়ে ভারতীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, সরকারের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভারত সরকারের পলিসি থিংকট্যাংক নীতি আয়োগ’র সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পাল। সেখানে তিনি বলেন, সংক্রমণ এড়াতে অযথা বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। এমনকি করোনাকালে বাড়িতে অতিথিদেরও আমন্ত্রণ করা উচিত না।
তিনি বলেন, ‘পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে অন্যদের সব সময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। কারণ ঘরের ভেতরেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এমনকি আমি এটাও বলতে চাই যে, বাড়ির মধ্যেও মাস্ক পরে থাকার সময় এসেছে।’
বিজ্ঞাপন
প্রায় একই পরামর্শ দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-র পরিচালক রনদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই নিজেকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। কোভিড রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। উপসর্গ দেখা দিলেই মনে করতে হবে যে- (ওই ব্যক্তি) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।’
তার দাবি, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্কের কারণে অনেকে বাড়িতে ইনজেকশন, রেমডেসিভির, অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে রাখছেন। যার কারণে অক্সিজেনের সরবরাহ কম হচ্ছে। অহেতুক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষেরই স্বাভাবিক উপসর্গ ধরা পড়ছে। যেমন- জ্বর, সর্দি-কাশি, গা-হাত-পা ব্যথা। এসব ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের প্রয়োজন নেই।’
এদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা জানিয়েছেন, রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার চাইলে সংক্রমিত এলাকায় নিজেদের মতো করে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। সেই সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানে ভিড় ঠেকাতেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
টিএম