করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন আগের চেয়েও বেশি সংক্রামক। মার্চের শুরুতেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন তারা।

গত ডিসেম্বরে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ‌‘ইন্ডিয়ান সার্স-কভ-২ জেনেটিক্স কনসর্টিয়াম’ (আইএনএসএসিওজি) গঠন করে ভারত সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কমিটির এক বিজ্ঞানী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মার্চের শুরুতে সারস-কোভ-২-র নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাকে রিপোর্ট করা হয়েছিল। তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। 

যদিও সেই রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স। এ নিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। 

বিজ্ঞানীদের দাবি, ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারকে বিধিনিষেধ জারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো কথা শোনেনি মোদি সরকার। বরং মাস্ক ছাড়াই লক্ষাধিক মানুষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপি ও বিরোধী নেতারা 
নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন। 

আইএনএসএসিওজির সদস্য অজয় পারিদা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শুরুতে কোভিডের ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট বি.১.৬১৭-কে চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ১০ মার্চের আগে তা জানানো হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলকে। সতর্ক করা হয়েছিল, ভাইরাসের এই নতুন ধরন আগের চেয়েও বেশি সংক্রামক। পরে তা জানানো হয়েছিল দেশটির স্বাস্থ্য দফতরকেও।

ওএফ