ভারতে মুসলিম সবজি বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা
ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে করোনা কারফিউ অমান্য করার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে মুহাম্মাদ ফয়সাল (১৮) নামে এক মুসলিম সবজি বিক্রেতা যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। প্রদেশের উন্নাওয়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সংস্থা ‘বন্দি মুক্তি কমিটি’র সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ভানু সরকার বলেন, প্রথমত অবশ্যই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি চাই। দ্বিতীয়ত, মৃতের পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তৃতীয়ত, করোনা প্রতিরোধের নামে সরকার যে লকডাউন চালাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, মানুষকে কাজে ফিরতে দিতে হবে। লকডাউন করলে করোনা কমে, এই মিথ্যা ভারতের মানুষ মেনে নিচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা এখনও তথ্য প্রমাণ দিয়ে দেখাতে পারেনি যে লকডাউন করলে করোনা কমে। করোনার জন্য আড়াই কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এখন পর্যন্ত। আগামীদিনে করোনায় যত লোক মারা যাবে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ অনাহারে মারা যেতে চলেছে।
শুক্রবার ওই সবজি বিক্রেতাকে পুলিশ ঘটনাস্থলে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে সেখানেও নির্দয়ভাবে পেটানো হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওই এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিত্সকরা তাকে সেখানে প্রাথমিক চিকিত্সা দিলেও পরিস্থিতি আরও খারাপ গুরুতর হওয়ায় তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আশঙ্কাজনক মুহাম্মাদ ফয়সালকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
ওই সবজি বিক্রেতা যুবকের মৃত্যুর সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ উন্নাওয়ের বাঙ্গারমউ থানার বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি চাকরির দাবিতে লক্ষনৌ রোড সংযোগ অবরোধ করে।
পরে চাপের মুখে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফয়সালের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল বিজয় চৌধুরী, সীমাভাট এবং হোমগার্ড সত্য প্রকাশকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পার্সট্যুডে।
এসএস