মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে দুটি লাইট রেল ট্রানজিট (এলআরটি) ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে দুই শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দুর্ঘটনায় ট্রেন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। কিছু ছবিতে দেখা যায়, ট্রেনের যাত্রীরা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। 

দেশটির পরিবহন মন্ত্রী দাতুক সেরি উই ক্যা সিওংয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল বলছে, রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেএলসিসি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এলআরটি কেলানা জয়া লাইনের দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে ২১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪৭ জনের অবস্থা গুরুতর।

দুর্ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, রাত ৮টা ৩৩ মিনিটের দিকে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে অন্য একটি পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করা যাত্রীবিহীন ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে।

দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটিতে মোট ২৩২ জন যাত্রী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ৪৭ জনের অবস্থা গুরুতর এবং অন্য ১৬৬ জন হালকা আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহতদের উদ্ধারের পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী দাতুক সেরি উই ক্যা সিওং। যারা হালকা আহত হয়েছেন তাদেরকে দুর্ঘটনাস্থলেই চিকিৎসাসেবা দিতে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ৪৭ জনের অবস্থা গুরুতর এবং অন্য ১৬৬ জন হালকা আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উদ্ধারের পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী দাতুক সেরি উই ক্যা সিওং। এছাড়া যারা সামান্য আহত হয়েছেন তাদেরকে দুর্ঘটনাস্থলেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

দেশটির ফেডারেল ফেডারেল টেরিটরিজ মন্ত্রী আনুয়ার মুসা এক টুইট বার্তায় বলেছেন, যাত্রীবাহী একটি এলআরটির সঙ্গে যাত্রীশূন্য অপর একটি এলআরটির সংঘর্ষ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া গেছে। এর ফলে ট্রেনের যাত্রীরা ছিটকে পড়ে যান। যাত্রীবাহী ট্রেনটি আমপাং স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসএস