জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলসহ ইউরোপীয় নেতাদের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন গোয়েন্দাদের চরবৃত্তি করতে সাহায্য করেছে ডেনমার্কের গোয়েন্দারা। তারা এসব নেতার তথ্য পাচার করেছে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে। কার্যত এই ঘটনার বোমা ফাটিয়েছে ইউরোপের একাধিক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম।

মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের সূত্র তাদের হাতে তুলে দিয়েছে বিস্ফোরক তথ্য। যাতে দেখা যাচ্ছে, ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা ইউরোপের একাধিক নেতার চেছনে চরবৃত্তি করেছে এবং সেই তথ্য তুলে দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পিছনেও তারা চরবৃত্তি করেছে এবং তথ্য তুলে দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ-এর হাতে।।

২০১৩ সালেই বিষয়টি সামনে এসেছিল। এডওয়ার্ড স্নোডেনও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় সাংবাদিকদের হাতে এই পরিমাণ তথ্য আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি এনএসএ’র এক কর্মকর্তা বিস্তারিত তথ্য তুলে দেন একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমের হাতে। তারপরেই বিস্ফোরক তথ্য সামনে চলে আসে।

মেরকেল ছাড়াও জার্মান প্রেসিডেন্টের পেছনে চরবৃত্তি করেছে ড্যানিশ গোয়েন্দা সংস্থা এফই। ২০১৩ সালে এসপিডি দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর পেছনেও চরবৃত্তি করা হয়। ঘটনার কথা শুনে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এটা একটা রাজনৈতিক স্ক্যান্ডাল।’

জার্মান কূটনীতি মহলেও বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে গেছে। কারণ জার্মানির সঙ্গে ডেনমার্কের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। ডেনমার্ক জার্মানির প্রতিবেশী দেশ। তা সত্ত্বেও কেন তারা এ কাজ করল এবং তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে দিল, তা শুনে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি মেরকেল। তবে তার অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, বিষয়টি মেরকেলের গোচরে আনা হয়েছে। জার্মান প্রেসিডেন্টও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ডেনমার্কও। 

তবে ২০২০ সালেই ডেনমার্কের প্রশাসনের কানে পৌঁছেছিল খবরটি। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলাও হয়েছে অনেক। সূত্র জানিয়েছে, ২০২০ সালে তৎকালীন গোয়েন্দা বিভাগের সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

এএস