বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহ খুবই সীমিত হওয়ায় এখনই শিশুদেরকে করোনার টিকা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ টিকা বিশেষজ্ঞ। তিনি বলছেন, টিকার ঘাটতি থাকায় শিশুদের টিকা দেওয়াটাকে অগ্রাধিকার বলে বিবেচনা করছে না ডব্লিউএইচও।

বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে ডা. কাতে ও’ব্রেইন বলেন, কোভিড টিকাদান কর্মসূচিতে এখনই শিশুদের প্রতি বেশি মনযোগী হওয়া উচিত হবে না। যদিও একের পর এক উন্নত দেশ কমবয়সী ও শিশুদের জন্য কোভিড টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিতে শুরু করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিভাগের পরিচালক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ও’ব্রেইন ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খুবই কম ঝুঁকিতে শিশুরা। শিশুদের টিকা দেওয়ার মানে, তাদের বাবা-মাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর পরিবর্তে সংক্রমণ ঠেকানো।

তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা যখন কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, যেখানে বিশ্বের সব মানুষের জন্য টিকার সরবরাহ কম, সেখানে এমন এক পরিস্থিতিতে শিশুদেরকে করোনা টিকা দেওয়ার বিষয়টিতে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়াটা উচিত হবে না।’

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গসংস্থাটির টিকা প্রধান ও’ব্রেইন আরও বলেন, প্রবীণ, স্বাস্থ্যকর্মী ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষকেই টিকা দেওয়ার বিষয়টি যখন এক সংকটের মধ্যে রয়েছে তখন তাদের জন্য সবার আগে টিকা নিশ্চিত করার পরই শিশুদের টিকা দিতে হবে।

প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা তার কাছাকাছি যাওয়ার কারণে কানডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশি কিছু করোনার টিকা ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের জন্য ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ফ্রান্স ও ইতালি মতো দেশ শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে। 

এএস