যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন জো বাইডেন। যুক্তরাজ্যে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ এর সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার ওয়াশিংটন ছেড়েছেন তিনি।

বাইডেনের আট দিনের এই সফরে তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের রেখে যাওয়া ট্রান্স-আটলান্টিক ভঙ্গুর সম্পর্ক নবায়ন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক আরোপ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়া প্রধান মিত্রদের সাথে সম্পর্ক ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোন দিকে নিয়ে যান এবং সংস্কার করতে পারেন কি-না সেই সক্ষমতার পরীক্ষা হিসেবে হাজির হয়েছে এই সফর।

ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক নিবন্ধে জো বাইডেন বলেছেন, গত শতাব্দিতে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক জোট এবং সংস্থাগুলো কি আধুনিক-কালের হুমকি এবং প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে? আমি বিশ্বাস করি, পারবে। চলতি সপ্তাহে ইউরোপে আমাদের এটি প্রমাণ করার সুযোগ আছে।

সফরের মূল আকর্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে— আগামী ১৬ জুন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জো বাইডেনের সাক্ষাৎকে। যেখানে তিনি রাশিয়া থেকে চালানো সাইবার হামলা, ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন এবং অন্যান্য নানা ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা সরাসরি জানাতে পারবেন পুতিনকে।

আটদিনের এই সফরে প্রথমদিন যুক্তরাজ্যের কর্নওয়েলের সেন্ট ইভসের সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামে জি৭ এর সম্মেলনে যোগ দেবেন বাইডেন। ভ্যাকসিন কূটনীতি, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নশীল বিশ্বে অবকাঠামো পুনর্গঠনে নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য মোকাবিলার পথও তৈরি হতে পারে এই সফরে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বজুড়ে ২ কোটি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পরও জো বাইডেন ভ্যাকসিন নিয়ে আরও বৈশ্বিক চাপের মুখোমুখি হতে পারেন এই সফরে।

বৃহস্পতিবার কর্নওয়েলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বাইডেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ‌‘বিশেষ সম্পর্ক’ নবায়নের সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই সাক্ষাৎকে।

তিনদিনের জি৭ সম্মেলনের পর বাইডেন এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের উইন্ডসর ক্যাসেলে রানি দ্বিতীয় এলিজবেথের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে। সর্বশেষ ১৯৮২ সালে ডেলাওয়ারের সিনেটর থাকাকালীন ব্রিটিশ রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন জো বাইডেন।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস