গাজা অধিগ্রহণ-পশ্চিম তীরে বসতির প্রকল্প পাস করলো ইসরায়েল
অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের বিতর্কিত এক পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা নগরী দখলের পরিকল্পনাও পাস করেছে ইসরায়েলের সরকার।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের চরম ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ এই পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জেরুজালেমের পূর্ব প্রান্তে ই-১ নামের একটি ভূখণ্ডের উন্নয়নের প্রস্তাব আছে ওই প্রকল্পে। সেখানে সাড়ে তিন হাজার নতুন অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়ে বর্তমানের মালে আদুমিম বসতিকে আরও বিস্তৃত করবে ইসরায়েল সরকার।
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘ বলছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিভক্ত হবে পশ্চিম তীর। এতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা আরও দূরে সরে যাবে।
স্মোটরিচের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়টিকে বাদ দিচ্ছে। গত সপ্তাহে এই প্রকল্পের প্রস্তাব জনসমক্ষে আসে। ইর আমিম সংস্থার গবেষক আভিভ টাটারস্কি বলেন, স্মোটরিচের প্রস্তাবিত প্রকল্প পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, পশ্চিম তীরকে উত্তর ও দক্ষিণ, দুভাগে ভাগ করবে এটি। এর ফলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গঠন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বুধবার একাধিক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, জনবহুল গাজা শহরে একটি নতুন অভিযানের পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে।
এই অভিযানের বিষয়ে এখনও স্পষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎস এএফপিকে বলেছেন, গাজা শহর অধিগ্রহণের প্রাথমিক পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা দখলের নীতিতে সম্মতি জানিয়েছে। হামাস যে ব্যক্তিদের এখনও বন্দি করে রেখেছে, তাদের পরিবারের সদস্যরা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনা সমর্থন করেননি। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের অনেক গোষ্ঠীও নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার সঙ্গে সহমত নন।
আসন্ন অভিযানে ইসরায়েল প্রশিক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা বাহিনীর হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাতে চায়। সেই প্রস্তাবটিও মন্ত্রণালয় পাশ করেছে বলে জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। এক লাখেরও বেশি নাগরিককে এভাবে কাজে লাগানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসএস