শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সরকারি হাসপাতালে গেলেও করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়নি ভারতের প্রথম রূপান্তরিত নারী মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার ‘অপরাধ’, তিনি রূপান্তরিত নারী। তাই তার কোভিড পরীক্ষা করা হয়নি। উল্টো খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে রাজ্য নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বর্তমানে রাজ্য ‘ট্রান্সজেন্ডার ট্রান্সপার্সন বোর্ড’-এর সহ-অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালনের পাশাপাশি ঢোলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

মানবী জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তার স্বামী জ্বরে আক্রান্ত। তাই সরকারি হাসপাতাল এম আর বাঙ্গুরে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে যেতেই হয়রানির শিকার হতে তাকে। স্বামীর কোভিড পরীক্ষা করানো হলেও তার সঙ্গে অশোভ্য আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকি তাকে মানসিক রোগী বলেও কটুক্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

তার অভিযোগ, এমন ব্যবহার কুকুর-বিড়ালদের সঙ্গেও কেউ করে না। বরং, তিনি যে ট্রান্সজেন্ডার বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেই কার্ড দেখালেও কোনো লাভ হয়নি। সুপারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাকে বলা হয়- সুপার আসেননি। যদিও সুপারের থাকা না থাকা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

ঘটনার জেরে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন জানিয়ে মানবীর প্রশ্ন, ‘রূপান্তরিত নারী বলেই কি এমন অশালীন আচরণ করা হলো তার সঙ্গে?’

এম আর বাঙুরের সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, ঘটনাটি শোনার পরই সহকারী সুপার তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোভিড টেস্ট করানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু ততক্ষণে মানবী সেখান থেকে চলে গেছেন। এছাড়া হাসপাতালে রূপান্তরকামীদের জন্য আলাদা কোভিড ওয়ার্ড রয়েছে বলেও তিনি জানান।

টিএম