তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের রেকর্ড দুই ডজনের বেশি যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের পর উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবারের ওই অনুপ্রবেশের পর বুধবার চীনের সরকার নতুন করে হুমকি দিয়ে তাইওয়ান ও এর মিত্রদের বলেছে, ‌‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা লাভের চেষ্টা এবং এই ইস্যুতে বিদেশি কোনও শক্তির হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না বেইজিং। এ ধরনের কোনও আঁতাত হলে চীন তার কড়া জবাব দেবে।’

এর আগে মঙ্গলবার তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেনটিফিকেশন ব্যবস্থাপনায় চীনের বিমান বাহিনীর একটি বহরের অনুপ্রবেশ শনাক্ত হয়। তাইওয়ান বলছে, চীনা এই বিমানের বহরে যুদ্ধবিমান, পারমাণবিক বোমাবাহী বিমান-সহ ২৮টি বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে। এর আগে কখনই একসঙ্গে এতসংখ্যক চীনা বিমানের অনুপ্রবেশ ঘটেনি বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ রোববার চীনের সমালোচনা করে চলতি সপ্তাহে একটি বিবৃতি দেওয়ার পর তাইওয়ানে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল। জি-৭ বলছে, তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা উপেক্ষা করছে চীন। তবে জি-৭ এর এই বিবৃতির তীব্র সমালোচনা করেছে চীন।

জি-৭ এর বিবৃতির সঙ্গে তাইওয়ানের আকাশে যুদ্ধবিমানের বহরের অনুপ্রবেশের সম্পর্ক আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে চীনের তাইওয়ান কল্যাণবিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র ম্যা জিয়াওগুয়াং বলেন, এই উত্তেজনার দায় তাইওয়ানের সরকারের। বেইজিং বিশ্বাস করে, দ্বীপটির সরকার আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা পেতে বিদেশি শক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করছে। 

ম্যা বলেন, আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়ার চেষ্টা অথবা এই ইস্যুতে বিদেশি কোনও শক্তির হস্তক্ষেপ কখনই সহ্য করবো না। যে কারণে এ ধরনের আঁতাতের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর জবাব দেওয়া দরকার।

গত কয়েক মাস ধরে চীনের বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশ করছে বলে অভিযোগ স্বশাসিত তাইওয়ানের। তাইওয়ান নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাটাস দ্বীপপুঞ্জের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রায় চীনের অনুপ্রবেশ শনাক্ত হচ্ছে।    

তবে এবার শুধুমাত্র প্রাটাস দ্বীপপুঞ্জই নয়, বরং তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের আকাশে বোমারু ও কিছু যুদ্ধবিমান চীন উড়িয়েছে বলে বুধবার অভিযোগ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস