করোনার পাশাপাশি নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ছত্রাক। এতদিন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তথা মিউকরমাইকোসিসের পর এবার গ্রিন ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। চিকিৎসা ক্ষেত্রে যার নাম অ্যাস্পারগিলোসিস। 

সম্প্রতি অ্যাস্পারগিলোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি। তিনি কয়েকদিন আগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ২ মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রথমে ওই ছত্রাককে দেখে মিউকরমাইকোসিস মনে করলেও পরে জানা যায়, এ অন্যরোগ। কেন ওই ব্যক্তি অ্যাস্পারগিলোসিসে আক্রান্ত হলেন? জানা গেছে, ফুসফুসে কোনো ধরনের সংক্রমণ হলে এই রোগের আশঙ্কা রয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, এই রোগ একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়াতে পারে না। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ফুসফুসে ভয়াবহ সংক্রমণ ঘটে ওই ব্যক্তির। আর তারপরই অ্যাস্পারগিলোসিসে আক্রান্ত হন তিনি।

সিডিসির তথ্য বলছে, শরীর রোগের ভিত্তিতে কোন ধরনের অ্যাস্পারগিলোসিস আক্রমণ করবে তা নির্ভর করছে। বলা হচ্ছে, যাদের অ্যাজমা রয়েছে, তাদের এবিপিএ (গ্রিন ফাঙ্গাসের একটি রূপ) হতে পারে। 

আবার যাদের টিবি আছে, তাদের অ্যাস্পারগিলোমাস হতে পারে। ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) থাকলে পালমোনারি অ্যাস্পারগিলোসিস হতে পারে। আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে ‘ইনভেসিভ অ্যাস্পারগিলোমাস’ হতে পারে। ইনফ্লুয়েনজা রোগীও অ্যাস্পারগিলোসিসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে তার থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে যাবে এমনটা হতে পারে না। 

এখন প্রশ্ন হলে কী করে বুঝবেন আপনি গ্রিন ফাঙ্গাসে আক্রান্ত? অ্যাস্পারগিলোসিসের যেমন অনেক রূপ আছে, তেমনি উপসর্গও একাধিক। যদি এবিপিএ আক্রান্ত হন, তাহলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, অনেক জ্বর আসতে পারে। 

অ্যাস্পারগিলোমাসে আক্রান্ত হলে কাশি হবে, তার সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসবে। শ্বাসকষ্ট থাকবে। পালমোনারি অ্যাস্পারগিলোসিসে আক্রান্ত হলে একই উপসর্গ দেখা দেবে, পাশাপাশি ওজন কমতে থাকবে। খুব ক্লান্তি ঘিরে ধরবে। জ্বর কমতে চাইবে না। 

এই গ্রিন ফাঙ্গাস তথা অ্যাস্পারগিলোসিস থেকে বাঁচবেন কীভাবে? প্রথমত এটি বিরল রোগ। ধুলা-ময়লা এড়িয়ে চলতে হবে। মাস্কের ব্যবহার করতে হবে। হাত-পা পরিষ্কার রাখতে হবে। জমে থাকা পানি এড়িয়ে চলতে হবে। রোজ গোসল করতে হবে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পরিষ্কার থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ওএফ