করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। ক্লাস চলছে অনলাইনে। এই সময় কোনো শিক্ষার্থী স্কুলের বেতন দিতে না পারলে বা বেতন বকেয়া থাকলেও স্কুল তার নাম বাদ দিতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, স্কুলের বেতন বকেয়া থাকলে বা না দিতে পারলেও কোনো ছাত্রের ক্লাস বাতিল বা স্কুল থেকে তার নাম বাতিল করা যাবে না।

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া বেতন বকেয়া থাকা শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কিছুই করতে পারবে না স্কুলগুলো। আগামী ৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ততোদিন পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।

গত বছর মার্চ মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। করোনার প্রথম ঢেউ কিছুটা কমার পরে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস শুরু হলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা বন্ধ করে দিতে হয়। কিন্তু এর মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের বিরুদ্ধে বেতন বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে।

যার কারণে অনেক স্কুলের বাইরে বিক্ষোভও করেছেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি, করোনার মধ্যে অনেক অভিভাবক আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। তাই স্কুলের উচিত এই পরিস্থিতিতে একটু মানবিক হওয়া। ফলে সংকট কাটাতে একটি মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।

টিএম