ইসরায়েলের আরোপিত আমদানি নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বখ্যাত বোতলজাত কোমল পানীয় কোম্পানি পেপসি চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তাদের কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর স্বত্তাধিকারী।

পেপসির কারখানা মালিকদের অভিযোগ, ইসরায়েলের আরোপিত আমদানি নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা প্রয়োজনীয় পণ্য আমাদানি করতে পারছেন না। ফলে পেপসি তৈরি করা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে সম্ভব হচ্ছে না ৬০ বছর পূর্তি উদযাপনও।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলার সময় সীমান্ত দিয়ে গাজায় পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। গতকাল সোমবার থেকে সে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে কিছু পণ্য রফতানি শুরু করলেও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ও সিরাপের মতো কাঁচামাল আমদানিতে কড়াকড়ি বহাল রেখেছে।

কার্বন ডাই অক্সাইড ও বিশেষ ধরনের সিরাপের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজার পেপসি কারখানা পড়েছে মহাসংকটে। সেভেন আপ ও  মিরিন্ডার মতো পেপসির কোমল পানীয় এই কারখানায় বোতলজাত করা হয়। সোমবার থেকে কারখানাটি পুরোপুরি বন্ধ।

পেপসি গাজার স্বত্তাধিকারী হামাম আল-ইয়াজেজি সোমবার বলেন, ‘গতকাল আমাদের সব কাঁচামাল শেষ হয়ে যায় ও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কারখানাটি বন্ধ করে দিতে হয়, বাড়ি পাঠিয়ে দিতে হয় আড়াইশ শ্রমিককে।’

১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত পেপসি গাজা এই প্রথম বন্ধ হলো। বন্ধ হওয়ার মাত্র একদিন আগে সাড়ম্বরে প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি উদযাপনের পরিকল্পনা করেছিলেন হামাম আল-ইয়াজেজি। কিন্তু ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

শূন্য থেকে দেড় কোটি ডলারের প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠা পেপসি গাজার কর্মীদের কথা ভেবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল-ইয়াজেজি বলেন, ‘৬০ বছর পূর্তি উদযাপনের বছরটা তো একেবারে অন্যরকম হওয়ার কথা, অথচ উদযাপনের সুযোগ থেকেও আমরা বঞ্চিত হলাম।’

এএস