ইরানের পরমাণু স্থাপনায় অন্তর্ঘাতী হামলার চেষ্টা
ইরানের কারাজ শহরে পরমাণু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একটি ভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে ঠিক সময়ে ড্রোনটি অকার্যকর করে ফেলায় ভবন ও তার ভেতরে থাকা লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল)-এর ঘনিষ্ঠ সংবাদ ওয়েবসাইট নূরনিউজের প্রতিবেদনে এই হামলা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এই ড্রোন হামলাকে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বিশদভাবে জানতে ইরানের নিরাপত্তা বিভাগের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা নেটওয়ার্ক। তবে ওই কর্মকর্তা আল জাজিরা নেটওয়ার্ককে নূর নিউজের প্রতিবেদন অনুসরণ (ফলো) করার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, সরকার থেকে ব্যাপারে মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে তাদের।
ফলে, হামলার ধরন এবং ঠিক কী কারণে একে ‘অন্তর্ঘাতী হামলা’ বলে দাবি করা হচ্ছে- বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল প্রেসটিভি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বুধবার ভোরবেলায় কারাজ শহরে পরমাণু প্রকল্প ভবনে শত্রুতাপূর্ণ হামলার ঘটনা ঘটেছে; কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী সঠিক সময়ে তৎপর হওয়ায় ভবন ও ভবনটির ভেতরের লোকজনদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
বিজ্ঞাপন
রাজধানী তেহরান থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে কারাজ শহরের ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি-পানি-কৃষি ও পশুসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা করা হতো ভবনটিতে।
গত এপ্রিলে দেশটির নাতাঞ্জ শহরের ভূ-গর্ভস্থ পরমাণু প্রকল্পের কার্যালয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছিল, কয়েকটি সেন্ট্রিফিউজও ধ্বংস করা হয়েছিল। এই ঘটনার কারা ঘটিয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। গত বছর ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। এই নিহতের পেছনে দায়ী কারা- তা ও এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
ইরান অবশ্য বরবরই অন্তর্ঘাতমূলক এসব তৎপরতার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে অভিযোগ জানিয়ে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল দায় স্বীকার করেনি, আবার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবাদও জানায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএমডব্লিউ