করোনার টিকা নয়, দেওয়া হয়েছে হামের টিকা
পুরো ঘটনার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তিকে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার কসবায় একটি ভুয়া টিকাকেন্দ্রের খোঁজ মিলেছে। এই কেন্দ্র থেকে বহু লোকের সাথে টিকা দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয়েছে।
তবে এখন অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রটি থেকে দেওয়াই হয়নি করোনার কেনো টিকা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কিসের টিকা দেওয়া হলো এতদিন?
বিজ্ঞাপন
বিরাট এই জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে টলিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ওই কেন্দ্রে টিকা নিতে গেলে। সেখান থেকে টিকা নেওয়ার পর কোনো মেসেজ না আসায় তিনি স্থানীয় পৌরসভায় যোগাযোগ করলে আস্তে আস্তে ফাঁস হয় সব কিছু।
এই ঘটনার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তিকে। যিনি নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতা পৌরসভার যুগ্ম-কমিশনার হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
দেবাঞ্জন দেবের সেই ভুয়া ভ্যাকসিন ক্যাম্পে দেওয়া ভ্যাকসিনের কোনো ব্যাচ নম্বর ছিল না। ভায়ালের ওপরে ছিল একটি সবুজ স্টিকার। তার ওপরে কোভিশিল্ড নাম লেখা ছিল। এমনকি ভায়ালের ওপরে মিক্সড ভ্যাকসিন লেখা ছিল। অর্থাৎ পাউডার ও তরল মিশিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। যদিও করোনাভাইরাসের জন্য এখনও কোনো মিক্সড ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি।
ওই কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে বিসিজি অথবা হামের টিকা। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ভুয়া টিকাকরণ নিয়ে এসব নানা তথ্য দেন কলকাতা পৌরসভার কর্মকর্তা ডা. রনিতা সেনগুপ্ত। ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই টিকা কেন্দ্রে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়। কলকাতা পৌরসভার নাম করে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। পৌরসভার ফি–র নাম করে ওই টাকা আদায় করা হয়।
প্রতারণার এখানেই শেষ নয়, কলকাতা করপোরেশেনর বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরীর সই জাল করে বেসরকারি ব্যাংকে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন দেবাঞ্জন দেব। সেই অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সংস্থা থেকে টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
এনএফ