ছদ্মবেশ ও ছোট নৌকায় পাড়ি দিয়েছেন উত্তাল সমুদ্র
ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে যেভাবে নোবেল পুরস্কার নিতে এসেছেন মাচাদো
ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো গত পরশুদিন হঠাৎ করেই নরওয়ের রাজধানী অসলোতে পৌঁছান। শান্তিতে নোবেলজয়ী এ নারী তার নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।
ভেনেজুয়েলায় আত্মগোপনে থাকা মাচাদোকে দেশ থেকে পালাতে সহায়তা করেছে ‘গ্রে বুল রেসকিউ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা।
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটির প্রধান ব্রায়ান স্টার্ন বিবিসিকে জানিয়েছেন, লুকিয়ে থাকা মাচাদোকে উদ্ধারের এ অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন গোল্ডেন ডিনামাইট’।
এই অভিযানের অংশ হিসেবে মাচাদোকে প্রথমে লুকিয়ে থাকা বাড়ি থেকে প্রথমে একটি অস্থায়ী বাড়িতে আনা হয়। সেখান থেকে সমুদ্রের পাড়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে তোলা হয় একটি ছোট নৌকায়। উত্তাল সমুদ্রে ছোট নৌকা দিয়ে এনে আরেকটি বড় নৌকায় তোলা হয় তাকে। ওই নৌকাতে করেই যান এমন একটি জায়গায়, যেখান থেকে বিমানে চড়েন তিনি। ওই বিমান তাকে অসলোতে নিয়ে আসে।
বিজ্ঞাপন
ব্রায়ান স্টার্ন বলেছেন, “সাগর (ছিল) খুবই উত্তাল, ঘুটঘুটে অন্ধকার। যোগাযোগের জন্য আমরা ফ্লাসলাইট ব্যবহার করছিল। পুরো বিষয়টি ছিল ভয়ানক। অনেক কিছু ভুল হতে পারত।”
সাগরের একেকটি ঢেউ ১০ ফুট উঁচু ছিল জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমরা সবাই ভিজে গিয়েছিলাম।
এই পুরো জার্নিতে মাচাদো কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাকে একটি শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছিল।
ভেনেজুয়েলায় যদি যুদ্ধ বেঁধে যায় এমন আশঙ্কা থেকে দীর্ঘদিন ধরেই ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রে বুল রেসকিউ ফাউন্ডেশন। সত্যি সত্যি যুদ্ধ বাঁধলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও অন্যান্যদের ভেনেজুয়েলা থেকে বের করে আনার কাজ করবে তারা।
মাচাদো অসলোতে পৌঁছে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে সহায়তা করেছে। তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক। তবে মার্কিন সরকার তাদের কোনো সহায়তা করেনি বলে জানিয়েছেন বায়ার্ন। তারা দাতাদের টাকায় মাচাদোকে অসলো নিয়ে এসেছেন।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই