বক্তব্য দেন নিজস্ব ডিভাইসে
হাসিনাকে রাজনৈতিক তৎপরতার অনুমতি দেওয়া হয়নি, দাবি ভারতের
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। তবে পালিয়ে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় ভারতকে একাধিকবার তার ব্যাপারে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ।
তা সত্ত্বেও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে, ভারত তাকে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দিচ্ছে। তবে ভারত এটি অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, সরকারের পক্ষ থেকে স্বৈরাচার হাসিনা বা পালিয়ে যাওয়া অন্য কোনো বাংলাদেশিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আর শেখ হাসিনা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, সেগুলো তিনি তার নিজস্ব যোগাযোগের ডিভাইস ব্যবহার করে করছেন। এতে সরকারের হাত নেই।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কংগ্রেস নেতা শশি থারুরের নেতৃত্বাধীন পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটি বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেন। ওই সময় হাসিনার বিষয়টি ওঠে আসেন। তখন এক প্রশ্নের জবাবের ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “তিনি তার বক্তব্য দিচ্ছেন নিজস্ব যোগাযোগের ডিভাইস দিয়ে, যেগুলোতে তার অ্যাক্সেস আছে। (ভারত) সরকার হাসিনা বা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম ব্যবস্থা করে দিচ্ছে না।”
অপরদিকে পার্লামেন্টারি কমিটি বলেছে, হাসিনাকে ভারত মানবিক দিক বিবেচনা করে আশ্রয় দিয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে তাকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। হাসিনাকে বাংলাদেশ ফেরত যে প্রত্যার্পণ নোটিশ পাঠিয়েছে সেভাবে পার্লামেন্টকে সার্বক্ষণিক অবহিত করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এ কমিটি।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘কৌশলগত সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং’ মুহূর্ত বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটি। তবে এটি কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে রূপ নেবে না। কিন্তু ভারতকে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে। নয়ত ঢাকায় নয়াদিল্লির গুরুত্ব কমে যাবে বলে সতর্কতা দিয়েছে এ কমিটি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
এমটিআই