লিবিয়ার সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিধ্বস্ত হয় তাকে বহনকারী বিমান।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই প্রাইভেট জেটটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানে আরও যারা ছিলেন তাদের সবাই নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে বিমানে ছিলেন চার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন ক্রু।

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দেবেইবা সেনাপ্রধানের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তুরস্কে সরকারি সফর শেষে দেশে ফেরার পথে তার বিমান বিধ্বস্ত হয়।

সেনাপ্রধান আল-হাদাদ পূর্ব লিবিয়ার একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ডার ছিলেন। দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়া লিবিয়াকে আবারও এক করতে কাজ করছিলেন তিনি।

২০১৪ সালে লিবিয়ায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সেনারা। এরপর দেশটির দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যু ও ন্যাটোর হস্তক্ষেপের কারণে লিবিয়া দুই ভাগ হয়ে যায়। এরপর এখনো দেশটিকে এক করা যায়নি।

সেনাপ্রধানের সঙ্গে নিহত অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন লিবিয়ার স্থল বাহিনীর প্রধান জেনারেল আল-ফিতোরি ঘারিবিল, সেনাবাহিনীর ম্যানুফেকচারিং অথরিটির প্রধান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতাই। সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আওয়াসি দিয়াব এবং সেনাপ্রধানের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।

তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লিবিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সামরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেনাপ্রধান আঙ্কারায় এসেছিলেন।

তার্কিস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকা জানিয়েছেন, লিবিয়ার সেনাপ্রধানকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় গতকাল রাত ৮টা ১০ মিনিটে ত্রিপোলীল উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। এর ৪০ মিনিট পর বিমানটির সঙ্গে রেডিও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তীতে আঙ্কারার হায়মানা বিভাগের কেসিকাভাক বিভাগের কাছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এরআগে বিমানটি জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু এরপর আর যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই