ছবিতে বিভিন্ন সময় অন্য দেশের নেতাদের সাথে খালেদা জিয়া
বিএনপির সাবেক চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক জীবনে মোট ৩ বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধান ও বিরোধী দলে থাকার থাকার সময় দেশ-বিদেশের অনেক সরকারপ্রধান, নেতা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন তিনি। তার সেই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সেসব সাক্ষাৎ ও বৈঠকের কিছু ছবি তুলে ধরেছে বিবিসি—
বিজ্ঞাপন
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার। এসময় দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে দেখা করেন তিনি। তেসরা অগাস্ট খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে গেলে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তারা।
বিজ্ঞাপন
২০০২ সালের ১২ই জানুয়ারি ঢাকায় চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রধানমন্ত্রী ঝু রংজির সাথে কথা বলেন খালেদা জিয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা সম্মেলন কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।
২০০২ সালের ২৯শে জুলাই ঢাকায় পৌঁছানোর পর পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফকে লাল-গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। বাংলাদেশের সেসময়কার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি জমিরউদ্দিন সরকার ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাকে স্বাগত জানান।
২০০২ সালের ৩১শে জুলাই ঢাকার তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফের সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। পাশে হাসছেন মোশাররফের স্ত্রী সেহবা।
২০০২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায়ের সময় মিয়ানমারের জান্তা নেতা সিনিয়র জেনারেল থান শোয়ে (বামে) এবং তার স্ত্রী দাউ কিয়াইং কিয়াইং-র (ডানে) সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। সেই সফরে থান শোয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
২০০২ সালের দোসরা মার্চ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।
২০০৩ সালের ২০শে এপ্রিল ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সাথে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা।
২০০৩ সালের ১৫ই অক্টোবর মালয়েশিয়ার পুত্রজায়াতে অর্গানাইজেশন অফ দ্য ইসলামিক কাউন্টি - ওআইসি'র দশম শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ব্যবসায়িক ফোরাম সভায় বক্তৃতা দিতে যান বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৩ সালের ১৮ই জুন ঢাকায় আসেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি মেগাওয়াতি সুকর্ণপুত্রী। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান খালেদা জিয়া।
২০০৪ সালের ২২শে মার্চ ঢাকার তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ট্রান ডাক লুং-এর সাথে খালেদা জিয়া। ২১ তোপধ্বনির মাধ্যমে লুং-এর বাংলাদেশে প্রথম সফরের সূচনা হয়।
২০০৪ সালের ছয়ই জানুয়ারী পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ১২তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।
(বাম থেকে ডানে) মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতুল্লা জামিল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জিগমি থিনলে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জাফরুল্লাহ জামালি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী সূর্য বাহাদুর থাপা।
২০০৪ সালের ছয়ই জানুয়ারি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ১২তম দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী (ডানে), পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জাফরুল্লাহ জামালির (বামে) সাথে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
২০০৫ সালের ১২ই নভেম্বর ঢাকায় ১৩তম দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা - সার্ক'র শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আগের বছরের সুনামি এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হুয়াং জু'র সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ২০০৫ সালের ১৭ই অগাস্ট বেইজিংয়ে বৈঠকের আগে ছবিটি তোলা হয়।
২০০৬ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির চাকলালা বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ এবং তার স্ত্রী রুখসানা আজিজ। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা ও দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য তিন দিনের পাকিস্তান সফরে যান তিনি।
২০০৫ সালের ১২ই নভেম্বর ঢাকায় ১৩তম দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কথা বলছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ।
২০০৬ সালের ৭ই মে দুই দিনের সরকারি সফরে কুয়েত সিটিতে পৌঁছান বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাকে স্বাগত জানান কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের আল-মোহাম্মদ আল-আহমদ আল-সাবাহ।
২০০৬ সালের ২০শে মার্চ খালেদা জিয়া ভারতের নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ই. আহমেদতাকে স্বাগত জানান। তিন দিনের সরকারি সফরে ভারতে যান তিনি।
২০০৬ সালের ২১শে মার্চ ভারতের নয়াদিল্লিতে হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে খালেদা জিয়া।
একইদিন নয়াদিল্লিতে গান্ধীর বাসভবনে কংগ্রেস পার্টির সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সাথে করমর্দন করেন খালেদা জিয়া।
পরদিন ২২শে মার্চ নয়াদিল্লিতে বিরোধীদলীয় নেতা এবং ভারতীয় জনতা পার্টি - বিজেপি'র সিনিয়র নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির সাথে বৈঠক করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
২০০৬ সালের ১৬ই জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কুয়েত সিটির আল-বায়ান প্রাসাদে কুয়েতের আমির শেখ জাবের আল-আহমদ আল-সাবাহর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে পৌঁছালে কুয়েতের পরিকল্পনামন্ত্রী মাসুমা আল-মোবারক তাকে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ২০১২ সালের পয়লা নভেম্বর আজমিরে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার জিয়ারত করেন। এর আগে সপ্তাহব্যাপী এক সফরে ২৮শে অক্টোবর ভারত পৌঁছান তিনি।
২০১৭ সালের ১৯শে ডিসেম্বর ঢাকায় সরকারি এক সফরকালে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এসএমডব্লিউ