মহামারি করোনার রেকর্ড সংক্রমণ আর অতিরিক্ত কোভিড রোগীর চাপে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দুই পর্যটন কেন্দ্র জাভা ও বালি দ্বীপে দেশটির কর্তৃপক্ষ লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। 

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও বহু জায়গায় আবার ভাইরাসটির প্রকোপ শুরুর হওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্য নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো দেশের প্রধান দুই দ্বীপ লকডাউন করে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

লকডাউনে অপরিহার্য নয় এমন ব্যবসায়ের জন্য কর্মরত সকল কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। দূরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম চলবে স্কুলগুলোতে। বিপণি বিতান, প্রার্থনালয় ও পার্কের মতো জনসমাগমস্থল বন্ধ ও বাইরে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জ্বালানি শিল্পের মতো জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ কর্মী নিয়ে চালু থাকবে। যার অর্থ এই খাতে সব কর্মচারী কাজে যেতে পারবেন। এছাড়া অপরিহার্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো ধারণক্ষমতার অর্ধেক কর্মী নিয়ে সচল থাকবে পারবে।

বিবিসি বুধবারের প্রতিবেদনে এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইন্দোনেশিয়ায় বিশ লাখেরও বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর জন্য ছুটির দিনে মানুষের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ ও ডেল্টার প্রকোপকে দায়ী করা হচ্ছে। 

ইন্দোনেশিয়ার এই লকডাউন নিষেধাজ্ঞা প্রাথমিকভাবে দুই সপ্তাহ জারি থাকবে। সরকার লকডাউনের মধ্যে দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে। এখন দেশটিতে দৈনিক বিশ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়ার সরকারি আক্রান্তের হিসাব বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কেননা রাজধানী জাকার্তা বাদের দেশটির বাকি অঞ্চলে স্বল্পসংখ্যক নমুন পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এএস