গোটা ভারতের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ​ধাক্কা সামলে উঠছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ। ​এক সময় রাজ্যটিতে যেখানে দৈনিক বিশ হাজার মানুষও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানে গতদিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল হাজারের কম।

সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অবশ্য রোববার পরীক্ষাও হয়েছে কম। গতদিন ৪০ হাজারের কিছু বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিন রাজ্যে করোনায় মৃত্যুম হয়েছে ১৮ জনের।

গতদিন উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়া বাকি সব জেলায় সংক্রমণ ১ বা ২ সংখ্যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে আক্রান্তের সংখ্যাও সামান্য বাড়তে পারে। গত মার্চের শেষের দিকে সবশেষ দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯০০-এর কম।

পশ্চিমবঙ্গে ১৭ হাজার ৯৫০ জন আক্রান্ত রয়েছেন। তবে তা রোববারের তুলনায় অনেকটাই কম। রোববার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৭৮০। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লক্ষ ৬ হাজার ২৭৯ জনে।

স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গতদিন করোনায় যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৩ জন, কলকাতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও জলপাইগুড়িতে দুজন করে মারা গেছেন। মোট মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৮১৭।

গতদিন কলকাতায় ৬৪ জন, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ১০৯ জন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ৩৪ জন, হুগলিতে ৪৬ জন, হাওড়ায় ৪৩ জন, পূর্ব বর্ধমানে ৬১ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ৪৪ জন ও নদীয়ায় ৭৩ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ টিকা নিলেও রোববার হওয়ায় তা অনেকটা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে টিকা পেয়েছেন ৬৯ হাজার ২০৬ জন। রাজ্যে মোট ২ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৪৫ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতে তিন মাস পর দৈনিক সংক্রমণ ৪০ হাজারের নিচে। আক্রান্ত হয়েছেন ​৩৯ হাজার ৭৯৬ জন। আর মারা গেছেন ৭২৩ জন। ভারতে করোনায় সংক্রমিত ৩ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ২২৯ জনের ৪ লাখ ২ হাজার ৭২৮ জন মারা গেছেন।

এএস