অং সান সু চি

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন । তার আইনজীবী মিন মিন সোয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সু চির আইনজীবী জানান, তার ব্যক্তিগত কর্মীদেরও পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। জান্তা সরকারের উদ্যোগে তাদের টিকা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। ৭৬ বছর বয়সী সু চির সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষী ও রাঁধুনিসহ ১০ জনের মতো কর্মী রয়েছেন।

মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান করোনার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাচ্যুত এই নেত্রী। তিনি সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, সু চি কখন বা কোন দেশের টিকা নিয়েছেন সে ব্যাপারে তার আইনজীবী কিছুই জানাননি।

ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগেই করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন সু চি। এবার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমারের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সোমবার দেশটিতে প্রায় তিন হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন যা জুনের শুরুতে একশর মতো ছিল।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে অপসারণ ও বন্দি করে জাতীয় ক্ষমতায় আসীন হয় সামরিক বাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।

কিন্তু অভ্যুত্থানের পরপরই ফুঁসে ওঠেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি জনতা। ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের পদত্যাগ ও সু চির মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে তারা শুরু করেন বিক্ষোভ ও আন্দোলন।

বিক্ষোভের প্রথম পর্যায়ে দৃশ্যত সহনশীল থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা দমনে কঠোর তৎপরতা শুরু করে জান্তা। দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাবার বুলেট, লাঠি, জলকামানের পাশাপাশি প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি গ্রেফতার করা শুরু হয় আন্দোলনকারীদের।

মিয়ানমারের কারাবন্দিদের সহায়তা দানকারী বেসরকারি সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ৮৮৩ জন নিহত হয়েছেন,এবং কারাগারে অন্তরীণ আছেন ৫ হাজার ২০০-এরও বেশি বিক্ষোভকারী।

ওএফ