যুক্তরাজ্যের ধনকুবের বেসরকারি রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিকের মালিক রিচার্ড ব্র্যানসন আজ রোববার নিজের কোম্পানির তৈরি রকেটে চেপে মহাশূন্যের দ্বারপ্রান্তে উড়ে গিয়ে সারা জীবনের রোমাঞ্চকর এক বাসনা পূরণ করবেন।

তার কোম্পানি ভার্জিন গ্যালাকটিকের তৈরি রকেট, যার নাম ইউনিটি, তাতে অন্যান্য ক্রুদের সাথে তিনি সহযাত্রী হিসেবে যোগদান করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো মরুভূমি থেকে স্থানীয় সময় রোববার দেড় ঘণ্টার এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইট শুরু হবে।

রকেটটি ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অতিক্রম করবে। ব্র্যানসন বলেন, এই ফ্লাইটের মাধ্যমে মহাশূন্য ভ্রমণের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তবে মহাশূন্যে যারা বেড়াতে যেতে চাইবেন তাদের বেশ বিত্তবান হতে হবে।

স্পেসশিপ ইউনিটিতে থাকবে দুজন পাইলট এবং চারজন ক্রু।

মহাশূন্যে কয়েক মিনিটের অভিজ্ঞতার জন্য প্রতি টিকিটের ব্যয় পড়বে আড়াই লাখ ডলার। ব্র্যানসনের মতো অ্যামাজনের মালিক মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসও চলতি মাসের শেষে তার কোম্পানির তৈরি রকেটে চড়ে মহাশূন্যে উড়ে যাবেন বলে কথা রয়েছে।

সব সময় নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন ব্র্যানসন। আর মহাকাশ পর্যটন ব্যবসায় তার কোম্পানির সঙ্গে আমাজনের জেফ বেজোসের কোম্পানির ব্লু অরিজিনের প্রতিযোগিতা চলছে। তাইতো বেজোসকে টপকে আগেই মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়ার ঘোষণা দেন ব্র্যানসন। 

তবে মহাশূন্যে অভিযানের এই পথটি রিচার্ড ব্র্যানসনের জন্য সহজ ছিল না। তিনি ২০০৪ সাল থেকে মহাশূন্যে এই বাণিজ্যিক ভ্রমণ চালু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। ২০০৭ সালেই চালুর কথা থাকলেও  রকেটে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের পর উদ্যোগটি মাঝপথে থেমে যায়।

মহাশূন্যে অভিযান রিচার্ড ব্র্যানসেন ছোটবেলার স্বপ্ন।

ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসিকে সারা জীবনের রোমাঞ্চকর এক বাসনা পূরণ নিয়ে ব্র্যানসন বলেন, ‘ছেলেবেলা থেকেই মহাকাশ ভ্রমণের শখ আমার ছিল, আমি আশা করছি আগামী ১০০ বছরের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ মহাশূন্যে সফর করতে পারবেন।’

গত মাসে ব্র্যানসনের কোম্পানি ভার্জিন গ্যালাকটিক ঘোষণা দেয় যে, ছয় জনকে নিয়ে ১১ জুলাই তাদের পরবর্তী পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হবে। ব্র্যানসনের সঙ্গী হবেন প্রতিষ্ঠানের আরও পাঁচজন কর্মকর্তা। এটা হবে ভার্জিন গ্যালাকটিকের চতুর্থ মহাকাশযাত্রা।

গত মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফল হলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের ভাড়ায় পর্যটক পরিবহনের অনুমতি দেয়। তবে এবারই প্রথম সব ক্রুকে নিয়ে নিউ মেক্সিকো থেকে মহাকাশযানে ব্র্যানসনের এই নভো–অভিযান।

এএস