স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে ভুক্তভোগী পাকিস্তানি নারী সহর কাইসার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বাসিন্দা এক পাকিস্তানি নারীকে কোভিড-১৯ টিকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী টিকার জন্য টাকা পরিশোধ করেছিলেন এবং রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-৫ টিকা নিতে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। পরে তাকে হাসপাতাল থেকে টিকা না দিয়েই ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

টাকা নিয়েও পাকিস্তানি নারীকে টিকা না দেওয়া কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালের নাম মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘নিয়ম মেনে’ কাজ করেছেন তারা। পাকিস্তানি ওই নারীকে টিকা দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হলেও ভ্যকসিন দিতে না পারায় সেটা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভুক্তভোগী ওই পাকিস্তানি নারীর নাম সহর কাইসার। করোনার টিকা নেওয়ার জন্য তিনি নিয়ম অনুযায়ী কো-উইন অ্যাপে নিজের নাম নিবন্ধন করেছিলেন। নিজের পাসপোর্টের সাহায্যে ওই অ্যাপে নাম নিবন্ধন করেছিলেন তিনি।

তবে বৈধভাবে নাম নিবন্ধনের পরও কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তাকে করোনার টিকা দিতে অস্বীকার করে। টিকা নিতে হাসপাতালে গিয়ে তিনি তার স্থানীয় বসবাসের ঠিকানা এবং বিয়ের সনদপত্র জমা দিয়েছিলেন।

সহর কাইসারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার যাবতীয় নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখে। এ কাজে প্রায় দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় তাকে। পরে তাকে টিকা দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের ‘নিয়ম অনুসারে’ এমন কাজ করেছে তারা। আর তাই তারা ওই পাকিস্তানি নারীকে টিকা দিতে পারেননি। টিকা নেওয়ার জন্য যে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পরে ওই নারী একটি এসএমএস পান। যেখানে বলা হয়, তাকে টিকা দেওয়ার কাজটি সফল হয়নি। কারণ তাকে কোনো টিকাই দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, বিবাহ সূত্রে কলকাতায় বসবাস করেন পাকিস্তানি নারী সহর কাইসার। তার বয়স ৩০ বছর। তিনি জন্মসূত্রে পাকিস্তানের নাগরিক হলেও বিয়ে করেছেন ভারতীয় নাগরিককে। আর সেই সূত্রে তিনি ভারতে বসবাস করেন। প্রায় ৭ বছর ধরে তিনি কলকাতায় বসবাস করছেন। তার কাছে ভারতের রেসিডেন্ট ভিসা রয়েছে।

প্রতি ২ বছর পর পর সেটি নবায়ন করাতে হয়। এছাড়া ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করতে হলে কোনও ব্যক্তিকে দেশটিতে ১০ বছর বসবাস করতে হয়।

টিএম