নতুন এক গবেষণায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য এইচআইভি একটি ‌‘গুরুত্বপূর্ণ’ ঝুঁকির কারণ। গবেষণায় এইডসের এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন করোনায় তাদের মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার বেশি দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এইডসে আক্রান্ত এবং এইডস মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ৪ কোটির বেশি মানুষ।

অতীতের গবেষণাগুলো করোনায় গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর উচ্চহারের সঙ্গে এইচআইভির সংশ্লিষ্টতার সুস্পষ্ট যোগসূত্র স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে যাদের এইচআইভি রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর উচ্চ রক্তচাপ বা স্থূলতার মতো অতিরিক্ত কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায়ও ভোগেন বলে জানানো হয়েছিল।

নতুন এই গবেষণায় এইচআইভিকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকা ১৫ হাজারের বেশি রোগী যারা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। এই রোগীদের প্রত্যেকের গড় বয়স ৪৫ বছর ৫ মাস এবং তাদের এক তৃতীয়াংশই করোনায় গুরুতর অসুস্থ অথবা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন।

গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রোগীদের ৯২ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে অ্যান্টি-রিট্রোভাইরাল থেরাপি নিয়েছিলেন। রোগীদের মধ্যে যাদের ফলাফল নথিভুক্ত করা হয়েছিল, তাদের ২৩ শতাংশই হাসপাতালে মারা গেছেন।

ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটির (আইএএস) ১১তম বার্ষিক সম্মেলনে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, করোনায় গুরুতর অথবা আশঙ্কাজনক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং হাসপাতালে মৃত্যুহারে এইচআইভিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বতন্ত্র ঝুঁকির কারণ হিসাবে পাওয়া গেছে।

আইএএসের প্রেসিডেন্ট আদিবা কামারুলজামান বলেছেন, গবেষণার ফলাফল জাতীয় কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচিতে এইচআইভি আক্রান্তদের অগ্রাধিকারের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছে।

তিনি বলেছেন, উচ্চ এইচআইভি প্রবণ দেশগুলোতে তাত্ক্ষণিকভাবে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও অনেক কিছু করতে হবে।
 
সূত্র: এএফপি।

এসএস