ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধেই তারা ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিক্রি করেছে। নিজেদের তৈরি এই ভ্যাকসিন বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশে ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাসকল সোরিওট।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, ২০২১ সালের প্রথমার্ধে বিশ্বজুড়ে ৪০ কোটি ৯০ লাখ ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করো হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র ইউরোপেই বিক্রি হয়েছে ৫৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের উদীয়মান বাজারে ৪৫৫ মিলিয়ন ডলারের ভ্যাকসিন বিক্রি হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার অন্যতম প্রধান টিকা হয়ে উঠছে ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি এই ভ্যাকসিন। ব্রিটেনে করোনা টিকাদান কর্মসূচির গতি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। যার ফলে চলতি মাসে দেশটির অর্থনীতি পুরোদমে পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাসকল সোরিওট বলেছেন, আমাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ভ্যাক্সজেভরিয়ায় নাটকীয় অগ্রগতি সাধন করেছি। আজ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং আমাদের অন্যান্য অংশীদাররা বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশে ১০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথভাবে করোনার টিকা উদ্ভাবন করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তারা মুনাফা ছাড়াই এই ভ্যাকসিন বিক্রি করছে।

যদিও ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা নিয়ে কিছু কিছু দেশে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি এই টিকা নেওয়ার পর বিরল রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে টিকাটির প্রয়োগ স্থগিত করেছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ।

বৃহস্পতিবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে তাদের নিট মুনাফা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তাদের মোট রাজস্ব প্রায় এক চতুর্থাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস