করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তারের ফলে শুরু প্রকোপ ঠেকাতে লাখ লাখ অস্ট্রেলিয়ান আবারও লকডাউন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছেন। সর্ববৃহৎ শহর সিডনির পর এবার তৃতীয় বৃহত্তম শহর ব্রিসবেনও শনিবার থেকে লকডাউন।  

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের কর্তৃপক্ষ পরীক্ষামূলকভাবে প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তিন দিনের জন্য ছায়া লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেন।

কুইন্সল্যান্ডে এর আগে কখনো এত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি। নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, জরুরি কোনো কাজ, হাসাপাতাল যাতায়ত, ওষুধ কেনা ও শরীরচর্চার জন্য ছাড়া বিধিনিষেধ চলাকালীন কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না।  

মহামারি কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে সবশেষ দেশটির এই অংশটি পুনরায় লকডাউন করা হলো। এদিকে সিডনিতে আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। বিবিসি বলছে, টিকাদানে পিছিয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়ার মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন। 

কুইন্সল্যান্ডে আরও ছয় জনের দেহে কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রাদেশিক কর্মকর্তারা। আক্রান্তদের সবাই বৃহস্পতিবার কোভিড পাজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়া সেখানকার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্ট।

কুইন্সল্যান্ডের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেনেটে ইয়াং বলেছেন, কোভিড পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে এবং তিনি ধারণা করেছেন ব্রিসবেনের অনেকেই হয়তো তাদের সংস্পর্শে এসেছেন।   

তিনি বলেন, ‌‘যদি কারনো কোনো উপসর্গ থেকে থাকে তাহলে এটাই সময়, আপনাকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে এবং দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে। সবাই যার যার জায়গা থেকে সচেতন হলে এবং স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চললে সংক্রমণ থামানো সম্ভব।’

এএস