পুলওয়ামা হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ লাম্বু নিহত
ইসমাইল আলভি ওরফে লাম্বু (মাঝখানে)
২০১৯ সালে কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলায় যে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল, তার অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড ইসমাইল আলভি ওরফে আদনান ওরফে লাম্বু বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাশ্মির পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা বিজয় কুমার।
শনিবার জম্মু ও কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরের দক্ষিণাঞ্চলে ভারতীয় সেনা বাহিনীর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ ই মোহাম্মদের সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধ হয়।
বিজ্ঞাপন
সেই বন্দুকযুদ্ধেই লাম্বু নিহত হন উল্লেখ করে বিজয় কুমার রয়টার্সকে বলেন, ‘মোহাম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে আদনান ওরফে লাম্বু জয়েশ ই মোহাম্মদের একজন অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্য। সম্পর্কে তিনি মাসুদ আজহারের ভাগ্নে ছিলেন।’
‘২০১৯ সালে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় যে হামলা হয়েছিল, সেই হামলার অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড ছিলেন লাম্বু।’
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার লোথোপোড়া এলাকায় ভারতের আধাসামরিক পুলিশ সদস্যদের গাড়িবহরে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য।
হামলার পর জয়েশ ই মোহাম্মদ এর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল।
পুলওয়ামা হামলাকে ভারতে অন্যতম আলোচিত ও বড় ধরনের প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বস্তুত, হামলার পর ওই বছরই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মিরের স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশের মর্যাদার অবসান ঘটায় বিজেপি এবং গোটা রাজ্যকে কেন্দ্রের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পুলওয়ামা হামলার জন্য প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, তবে দেশটির সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে, পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে পাকিস্তান ও ভারত উভয়ই জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ