বাণিজ্যিকভাবে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে চাঁদ ও মঙ্গলের কক্ষপথে নিয়ে যাবে যে রকেট, সেই স্টারশিপের বুস্টার রকেটের একটি ছবি প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।    

স্পেসএক্সের মালিক ধনকুবের ইলন মাস্ক ছবিটি শেয়ার করেছেন। গত কয়েক বছর ধরেই স্টারশিপের প্রোটোটাইপের বেশ কয়েকটি ছোট সফরের পরীক্ষা চালিয়েছে মাস্কের প্রতিষ্ঠান। এখন কক্ষপথে পৌঁছানোর এ পরীক্ষা তাদের জন্য পরের ধাপের চ্যালেঞ্জ। 

গেল মে মাসে এ ফ্লাইটের কথা জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। টেক্সাসে তাদের নিজস্ব ফ্যাসিলিটি থেকে কক্ষপথের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করবে রকেটটি, আর হাওয়ায়ের উপকূলে এর অবতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।   

স্টারশিপ রকেট ১৬০ ফুট লম্বা বা ১৬ তলা ভবনের সমান সুউচ্চ। এটি তৈরি স্টেনলেস স্টিল দিয়ে।  

যে বুস্টারের মাধ্যমে রকেটটি কক্ষপথের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে তার নাম রাখা হয়েছে সুপার হেভি। সুপার হেভি মূলত রকেটের নিচের অংশ। এর উচ্চতা ২৩০ ফুট। লঞ্চের সময় স্টারশিপ ও সুপার হেভি মিলে মহাকাশযানটির উচ্চতা দাঁড়াবে ৪০০ ফুট।  

মঙ্গলবার এই সুপার হেভি বুস্টার ৪ এর ছবিই প্রকাশ করেছে স্পেসএক্স। এরসঙ্গে স্টারশিপ প্রোটোটাইপ ২০ এর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সুপার হেভি ৪ এর ওপরে এই প্রোটোটাইপ ২০ই থাকবে। 
 
স্টারশিপ এবং সুপার হেভি বুস্টারের কক্ষপথে যাত্রার জন্য তাদের প্রস্তুতির কাজ করে যাচ্ছে স্পেস এক্স। তবে লঞ্চের আগে পরিবেশ বিষয়ক একটা ছাড়পত্র পেতে হবে তাদের। 

চাঁদ এবং মঙ্গলগ্রহে বাণিজ্যিকভাবে মানুষ পাঠাতে অর্থাৎ বাণিজ্যিকভাবে সেখানে মহাকাশ যান পাঠানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্পেসএক্স। 

স্পেসএক্স বহরের ফ্যালকন ৯ ও ফ্যালকন হেভি রকেটগুলো আংশিক পুনর্ব্যবহার করা যায়। মাস্কের উদ্দেশ্য স্টারশিপকে সম্পূর্ণ পুনর্ব্যবহার যোগ্য করা। মাস্ক মূলত রকেটযাত্রাকে বাণিজ্যিক বিমানযাত্রার মতো করার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি স্বপ্ন দেখছেন- নির্দিষ্ট সময়ের বিরতিতে একটির পর একটি রকেট পৃথিবী থেকে মহাকাশের পথে ছেড়ে যাবে, কিছুক্ষণ পর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে। আর তেল খরচ বাদে এতে বড় আর কোনো খরচ থাকবে না। 

সুপার হেভি বুস্টারের জন্য যে ২৯টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হবে সেগুলো বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি নিজেই তদারকি করছেন মাস্ক। 

সূত্র : সিএনবিসি নিউজ। 

এনএফ