বাড়ি ভাড়া দিতে না পারলেও উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা চলবে যুক্তরাষ্ট্রে
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে বহু মানুষ কাজ হারাতে শুরু করেন। সে সময় প্রশাসনের সম্মতিতে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) একটি নিয়ম সাময়িক সময়ের জন্য চালু করেছিল। করোনাকালে কাউকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। ভাড়া দিতে না পারলেও বাড়িতে থাকতে দিতে হবে।
সিডিসি’র বক্তব্য ছিল, উচ্ছেদ শুরু হলে বহু মানুষ গৃহহারা হয়ে পড়বেন। যার ফলে নতুন সমস্যা দেখা দেবে। তবে এ মাসেই সেই নিয়মের সময়সীমা শেষ হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
বিজ্ঞাপন
এই পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছিল। পুরনো নিয়মের সময়সীমা বৃদ্ধির অনুরোধ আসছিল। শেষপর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্মতিতে সিডিসি আগের নিয়মের সময়বৃদ্ধির নোটিশ জারি করেছে। অর্থাৎ, ভাড়া দিতে না পারলেও এখনও কাউকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। নতুন কাজের সুযোগও সেভাবে তৈরি হয়নি। সরকার আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করলেও তা যথেষ্ট নয়। সে কারণেই উচ্ছেদ বন্ধের নোটিশ জারি করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে পোস্টার দিয়ে কাজ হারানো ব্যক্তিরা বলেছিলেন, তাদের পক্ষে বাড়িভাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। তারপরেই ওই নিয়ম চালু করা হয়। এখনও পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে নিউইয়র্কে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। নিউইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে রেস্তোরাঁ, জিমের মতো জায়গায় যেতে হলে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলে ওই সমস্ত জায়গায় প্রবেশ করা যাবে না। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরেও করোনার সংক্রমণ রুখতে নতুন নতুন নিয়ম তৈরি করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৩৮১ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৮ হাজার ৬১১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৩ জন মারা গেছেন।
টিএম