ফাইল ছবি

টিকার ডোজ সম্পূর্ণকারীদের তুলনায় না নেওয়া ব্যক্তিদের করোনায় পুনঃসংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি বলে মার্কিন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) শুক্রবার এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন এই রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বলছে, করোনার টিকা নিতে সক্ষম সবাইকেই টিকা দিতে হবে বলে তারা যে সুপারিশ করেছে, তা এই গবেষণার ফল সমর্থন করে। এমনকি কেউ আগে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকলেও তাকে টিকা নিতে হবে বলে সুপারিশ করেছিল সিডিসি।

কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর রান্ড পলসহ দেশটির কিছু রাজনীতিক বলেছিলেন, পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক ইমিউনিটির কারণে তারা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন না নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

সিডিসির নতুন এই গবেষণা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক ২৪৬ জনের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে; যারা গত বছর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চলতি বছরের মে এবং জুন মাসে পুনরায় এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে ৪৯২ জন নিয়ন্ত্রিত স্বেচ্ছাসেবীর তুলনা করা হয়; যারা প্রায় একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। লিঙ্গ, বয়স এবং প্রথমবার করোনা আক্রান্তের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গবেষণার জন্য তাদের বাছাই করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ফাইজার, মডার্না অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পূর্ণ ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন তাদের তুলনায় টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২ দশমিক ৩৪ গুণ বেশি।

গবেষণায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমিত হওয়ার পর শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি প্রতিরোধব্যবস্থা কতদিন টেকসই হয়, সেবিষয়ে এখনও ভালোভাবে জানা যায়নি। এছাড়া আগের ধরনের সংক্রমণে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কাজ নাও করতে পারে। এমনকি আগের ধরনে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে ল্যাবরেটরিতে চালানো এই গবেষণার ফলে বলা হয়েছে, প্রথম দিকের উহানের মূল ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের নমুনায় পাওয়া অ্যান্টিবডি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া বেটা ধরনের বিরুদ্ধে তুলনামূলক কম কার্যকর। গবেষকরা বলেছেন, এই গবেষণার সীমাবদ্ধতা হলো ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ধরন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ার আগে গবেষণাটি করা হয়েছে।

সূত্র: এএফপি।

এসএস