কিশোর হত্যায় তুরস্কে অভিবাসীবিরোধী বিক্ষোভ
সিরীয় অভিবাসীদের হাতে এক তুর্কি কিশোর খুনের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর তুরস্কে সহিংস অভিবাসীবিরোধী বিক্ষোভকারীরা দেশটিতে বসবাসরত সিরীয় অভিবাসীদের বাড়িঘর, দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মারামারির ঘটনায় সিরীয় ওই অভিবাসী দুই তুর্কিকে ছুরিকাঘাত করার পর বুধবার রাতে সহিংসতার সূত্রপাত। কয়েকশ স্থানীয় বাসিন্দা তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সিরীয় অভিবাসী ও শরণার্থীদের বসবাসের এলাকা ঘিরে ফেলে এমন সহিংসতা চালায়।
বিজ্ঞাপন
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে একদল মানুষ দোকান ভাংচুর করছেন এবং গাড়ি উল্টে ফেলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সিরীয় অনেক বাসিন্দাকে বাসে করে নিরাপদে নিতেও দেখা গেছে পুলিশকে।
বুধবার শেষরাতে আঙ্কারার গভর্নরের দফর জানিয়েছে, পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সহিংস বিক্ষোভের অবসান হয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মানুষ সহিংস এই বিক্ষোভ দমনে পুলিশের ভূমিকা যথোপযুক্ত ছিল না বলে সমালোচনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
রাজধানী আঙ্কারার আল্টিনডাগ শহরতলীতে বুধবার ওই হামলার ঘটনার আগে ওইদিন সেখানে সিরীয় শরণার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে এক লড়াইয়ে ১৮ বছর বয়সী এমিরহান ইয়ালসিন নিহত হন। তার নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে এই সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত।
সিরীয় শরণার্থীর হাতে তুর্কি কিশোর খুন হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শত শত মানুষ আল্টিনডাগ সড়কে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মুহূর্তে তা সহিংস বিক্ষোভে রুপ নেয়। ওই হত্যার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্কে অভিবাসীবিরোধী মনোভাব বাড়তে দেখা যাচ্ছে। দেশটির বেশ কিছু রাজনীতিবিদ অভিবাসীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের দাবিতে প্রচার চালানোর কারণে এই মনোভাব আরও প্রকট হচ্ছে বলেই অভিযোগ।
আফগানিস্তানে যুদ্ধের ফলে দেশটির হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে গিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়ার কারণে সম্প্রতি সেই উত্তেজনা বেড়েছে। জাতিসেঘের হিসাব অনুযায়ী তুরস্কের কমপক্ষে ৩০ লাখের বেশি শরণার্থী রয়েছে। বিশ্বের আর কোনো দেশে এত শরণার্থী নেই।
এএস