করোনা সংক্রমণ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কিন্তু দেশের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই টিকার আওতায় চলে আসায় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার আদেশ শিথিল করেছে ডেনমার্ক। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

দেশটির পরিবহনমন্ত্রী বেনি এঙ্গেলব্রেশট শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলেন, ‘দেশের মোট জনসংখ্যার বড় অংশকেই টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এবং সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে।’

‘আমরা এখন জনসমাগম পূর্ণ স্থান ও গণপরিবহনে মাস্ক পরাকে বিদায় জানাতে পারি।’

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বের দেশসমূহে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ডেনমার্কে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ২৯ হাজার ১০ জন এবং মারা গেছেন মোট ২৫৫৮ জন। এর মধ্যে শুক্রবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার জন এবং মারা গেছেন ৩ জন।

তবে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ এজেন্সি শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ডেনমার্কের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।

বিবৃতিতে সংস্থার উপপরিচালক হেলেন বিলস্টেড প্রোবস্ট বলেন, ‘ডেনমার্কে করোনা মাহামারি এখন আমাদের মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। এ কারণে স্বাভাবিক জীবনে প্রবেশ করে যতখানি স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলা সম্ভব, ততখানি মেনে চলতে নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।’

তবে দৈনন্দিন জীবনে মাস্ক পরা শিথিল করলেও বিমানবন্দর এলাকা ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে মাস্ক পরা এখনও বাধ্যতামূলক রেখেছে দেশটির সরকার।

সূত্র : এএফপি

এসএমডব্লিউ