আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা ও তালেবানগোষ্ঠীর সাম্প্রতি সাফল্যের জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে ‘কোবরা’ বৈঠক ডেকেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাজ্যের জরুরি অবস্থা বিষয়ক কমিটির নাম কোবরা। মন্ত্রিসভার সদস্য , সরকারি প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এই কমিটির সদস্য। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আফগানিস্তানে নিজেদের দূতাবাস খালি করে ইতোমধ্যে নিজেদের কর্মী ও দেশটিতে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছে যুক্তরাজ্য।

এদিকে, রোববার কাবুলে প্রবেশ করেছে তালেবান বাহিনী; আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পদত্যাগ করেছেন এবং দেশটিতে একটি অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তালেবান নেতারা প্রত্যাশা করছেন, অল্প কয়দিনের মধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে সামনে এসেছে, তা হলো- তালেবানগোষ্ঠী সরকারগঠন করলে সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কোন কোন দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন, ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে তালেবানগোষ্ঠী যে পরিমাণ নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে, তাতে তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না।

ইতোমধ্যে জার্মানি, ভারত, কাতার ও তুরস্ক জানিয়েছে, আফগানিস্তানে যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করবে, তাদের স্বীকৃতি দেবে না এই দেশগুলো।

বৃটেন এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, আগামী ১৮ মার্চ ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন শুরু হবে। সেই অধিবেশনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্র : বিবিসি

এসএমডব্লিউ