কোভিড : সংক্রমণ-মৃত্যু কমেছে ভারতে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে শুরু করা ভারতে কমে আসছে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৫৭ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৩৭৫ জন। আগের দিন বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৭ হাজার ৩১২ জন এবং এ রোগে সে দিন মৃত্যু হয়েছিল ৫৫৯ জনের।
বিজ্ঞাপন
অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার- ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ৮৫৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ১৮৪ জন। শতকরা হিসেবে দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দেশটিতে কমেছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার যেখানে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগী ছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৬ জন। সেখানে শুক্রবার দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১২২ জন, যা গত চার মাসে সর্বনিম্ন।
বিজ্ঞাপন
তবে আক্রান্ত-মৃত্যু-সক্রিয় করোনা রোগীর পাশপাশি সুস্থতার হারও কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। শুক্রবার ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৬ হাজার ২৫৪ জন, আগের দিন বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৯০৮ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের মধ্যে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে (১০৫ জন)।
আর এই দিন সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ ঘটেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় (২০ হাজার ২২৪ জন)।
এছাড়া, গত টানা ২৬ দিন ধরে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের শতকরা হার ৩ শতাংশের কম রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার এই হার ছিল ১ দশমিক ১২ শতাংশ। অন্যদিকে এই দিন দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থতার হার ছিল ৯৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরলায়। তার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৫০৬ জন এবং মারা গেছেন মোট ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৫ জন।
চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শনিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৭ মাসে টিকাদান কর্মসূচিতে মোট ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৩৫০ ডোজ টিকা ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার ব্যবহৃত হয়েছে ৩৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪৩ টি ডোজ।
সূত্র : এএনআই, এনডিটিভি
এসএমডব্লিউ