বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরসমূহের মধ্যে নজরদারিতে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। প্রতি বর্গমাইলে নয়াদিল্লিতে ১ হাজার ৮২৬টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা রয়েছে, যা বিশ্বের যে কোনও শহরের চেয়ে অনেক বেশি।

আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তাবিষয়ক ওয়েবসাইট কমপারিটেক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শহরজুড়ে সিসি ক্যামেরার সংখ্যার হিসেবে লন্ডন, সাংহাই, নিউ ইয়র্ক ও সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোকে ছাপিয়ে গেছে নয়াদিল্লি।

এই তালিকায় প্রথম ২০ শহরের মধ্যে রাজধানী ছাড়াও রয়েছে ভারতের আরও দুই শহর – চেন্নাই আছে তৃতীয় স্থানে এবং মুম্বাই ১৮ তম। এই দুই শহরের প্রতি বর্গ মাইলে যথাক্রমে ৬১০ ও ১৫৭টি করে ক্যামেরা কার্যকর আছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে কমপারিটেক।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও একই কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রতি বর্গমাইলে সর্বাধিক সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনে নিউইয়র্ক, লন্ডন এবং সাংহাইয়ের মতো মেগাসিটিগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে রাজধানী শহর।

ফোর্বস ইন্ডিয়ার প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লিতে বর্তমানে প্রতি বর্গমাইলে ১ হাজার ৮২৬ দশমিক ৬টি সিসি ক্যামেরা আছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে যুক্তরজ্যের রাজধানী লন্ডন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে ১১৩৮টি।

২০১৯ সালের জুন মাসে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন নয়াদিল্লি সরকার ঘোষণা দেয়, অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্য নিয়ে দিল্লিতে ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।

এসব ক্যামেরায় যেসব ফিড আসবে তা সরাসরি পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (আরডব্লিউএ) এবং মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সংযুক্তি থাকবে এসব সিসি ক্যামেরার।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সমস্ত সিসিটিভির ফিড বেশ নিরাপদ। এর হার্ডওয়্যার পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে সরকারি সংস্থা এবং এসবের ফিড বা ফুটেজ কেবলমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিরাই দেখতে পারবেন।

এদিকে ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (আইএফএফ) নামের একটি ভারতীয় সংস্থা দিল্লি সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘গোপনীয়তার ওপর হামলা' আখ্যা দিয়ে শহরে সিসিটিভি স্থাপন বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।

এসএমডব্লিউ