মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বশেষ সদস্য হিসেবে কাবুল ছাড়তে সি-১৭ কার্গো বিমানে উঠছেন মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহু

আফগানিস্তানে মার্কিন অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে দেশটি চূড়ান্তভাবে ছেড়ে গেছে মার্কিন সেনারা। এরপরই বিজয়ের আনন্দে মেতেছে তালেবান। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে, বাজি ফাটিয়ে ‘পূর্ণ স্বাধীনতার’ উদযাপনে মাতে গোষ্ঠীটির সদস্যরা।

তবে এর মধ্যেও এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। কারণ তিনি সবার শেষে আফগান ভূখণ্ড ত্যাগ করেছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বশেষ সদস্য হিসেবে কাবুল ত্যাগ করা ওই সেনার নাম মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহু। মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহু মার্কিন সেনাবাহিনীর ৮২তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের কমান্ডার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোররাত সোয়া তিনটার দিকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি সি-১৭ কার্গো বিমানে করে আফগান ভূখণ্ড ত্যাগ করেন তিনি।

এদিকে চূড়ান্তভাবে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ছাড়লেও কাবুলে প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিক ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক হাজার হাজার আফগানকে ফেলে রেখে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মার্কিন সামরিক বাহিনী চূড়ান্তভাবে আফগান ভূখণ্ড ছাড়লেও কাবুলে প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিককে ফেলে রেখে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক হাজার হাজার আফগান নাগরিককেও ফেলে রেখে গেছে দেশটি। কাবুল ছাড়ার জন্য তাদেরকে এখন তালেবানের অনুমতির ওপর নির্ভর করতে হবে।

যদিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে আফগানিস্তান ছাড়লেও দেশটিতে থাকা মার্কিন নাগরিক ও আফগানদের বের করে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে ওয়াশিংটন। এছাড়া কাবুল বিমানবন্দর ফের চালু হলে বিমানের মাধ্যমে বা স্থলপথে তাদেরকে বের করে আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেশিদের সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাবুলের মার্কিন কূটনৈতিক মিশন স্থগিত করে দোহায় নিয়ে যাওয়া হলেও, আমেরিকান নাগরিক এবং যে আফগানদের যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট রয়েছে, তারা চাইলে তাদের আফগানিস্তান ছাড়তে সহায়তা করা হবে।

টিএম