নিউজিল্যান্ডের শপিংমলে ছুরি হাতে তাণ্ডব
হামলার পর শপিংমলের বাইরে পুলিশের অবস্থান
নিউজিল্যান্ডে একটি শপিংমলে ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। পরে অবশ্য পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির অকল্যান্ড শহরের একটি শপিংমলে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
পরে এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘শুক্রবার অকল্যান্ড শহরের নিউ লিন সুপারমার্কেট নামে একটি শপিংমলে এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে প্রবেশ করে এবং হামলার মাধ্যমে কয়েকজনকে আহত করে। পরে পুলিশ ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে এবং একপর্যায়ে গুলিবর্ষণ করে। হামলাকারী ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।’
বিজ্ঞাপন
এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে পরে জানানো হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে হামলাকারী একজনই ছিল এবং হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুলিশ এখনও কোনো তথ্য দেয়নি।
তবে জরুরি সেবাদাতা একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, হামলার ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স এবং র্যাপিড রেসপন্স টিমের তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলায় আহত পাঁচ জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এছাড়া একজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অন্যজন হালকা আহত বলেও জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা ওই শপিংমলের ভেতরে ছুরির আঘাতে আহত কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখেছেন। এছাড়া গুলির আওয়াজ শুনে আতঙ্কে কয়েকজন শপিংমলের বাইরে বেরিয়ে আসেন বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে ছুরি নিয়ে হামলার এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি বলেছেন, হামলাকারী ওই ব্যক্তি শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি নজরদারিতে ছিলেন।
তবে হামলাকারীর নাম প্রকাশ করা না হলেও জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি এই হামলা করেছেন বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন বলেছেন, ছুরি নিয়ে হামলার ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই হামলাকারীকে হত্যা করে পুলিশ। তিনি বলছেন, ‘আজ যেটা ঘটেছে, তা আসলে জঘন্য। এটা ঘৃণিত।’
বিবিসি জানিয়েছে, ২০১১ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা থেকে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছান ওই ব্যক্তি। তবে ২০১৬ সাল থেকেই তার ওপর নজর রাখছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। উগ্রবাদী মনোভাব এবং আদর্শের জন্যই পুরোটা সময়ই তিনি নিউজিল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে ছিলেন।
টিএম