ভারতে ভিপিএন পরিষেবা নিষিদ্ধের সুপারিশ
অনলাইনে প্রাইভেসি রক্ষার পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকতে অনেকেই ভিপিএন সফটওয়্যার ব্যবহার করে। ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এমন তথ্য জানা যাচ্ছে দেশটির গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে।
ভিপিএন বা ভারচুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেসব ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে বা কোনো কিছু ডাউনলোড করে তার সব তথ্য গোপন রাখা যায়। এককথায় এতে করে ব্যবহারীরর পরিচয় গোপন থাকে।
বিজ্ঞাপন
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানি ভিপিএন ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এবার ভিপিএন সম্ভবত নিষিদ্ধ হতে চলেছে ভারতে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই নেটওয়ার্ককে নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সংসদীয় কমিটির দাবি, ভিপিএন চালু থাকলে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক। সাইবার অপরাধীরা এটাকে কাজে লাগিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাততে পারেন। অথচ এই পরিষেবা সহজলভ্য। তাই অবিলম্বে ভিপিএন বন্ধ করা দরকার।
বিজ্ঞাপন
বহুজাতিকসহ অনেক কোম্পানি নিজস্ব সার্ভারে ভিপিএন পরিষেবার সুবিধা নেয়। অনেকে ‘নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে’ ঢুকতে ভিপিএন ব্যবহার করেন; যার অন্যতম উদ্দেশ্য অবশ্যই তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অবলম্বন করা।
শুধু গোপনীয়তা রক্ষাই নয় এর পাশাপাশি হ্যাকারদের হাত থেকেও বাঁচা যায়। শেষ পর্যন্ত ভিপিএন পরিষেবা বন্ধ হলেও হ্যাকারদের হাত থেকে ইন্টারনেট পরিষেবাকে বাড়তি সুরক্ষা দেওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়েই এখন ভারতে প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত ভিপিএন নিষিদ্ধ হবে কিনা তা নিয়ে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সংসদীয় কমিটি এই সুপারিশ করায় আগামীতে হয়তো সরকারের অবস্থান জানা যেতে পারে।
এএস