অভিযুক্ত অধ্যাপক অতনু সাহা

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক অতনু সাহার বিরুদ্ধে। ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানও তিনি।

সম্প্রতি যাদবপুর থানায় অতনু সাহার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন অতনু সাহা।

তারপর কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রী যখন বিয়ের কথা বলেন, তাতে অসম্মতি জানান অতনু। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু ওই ছাত্রীই নন, অতীতে এ রকম একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ওই অধ্যাপকের ফ্ল্যাটে মাঝে মধ্যেই অচেনা তরুণীদের আসতে দেখেছেন তারা।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ ওই অধ্যাপকের ফ্ল্যাটে গেলে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, অতনু বাড়িতে নেই। যাদবপুর পুলিশের এক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, অভিযোগকারী ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। পুলিশ তার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। সেজন্য আলিপুর আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, অতনু সাহার পৈতৃক বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায়। মালদহের বাড়িতেও তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হবে।

এদিকে, এই অভিযোগের জেরে ইতোমধ্যে অতনু সাহাকে ভাষাতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল কমপ্লেইন সেল ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারবেন না ওই অধ্যাপক; আর দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

এসএমডব্লিউ