যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে আফগানিস্তানের যে অর্থ সংরক্ষিত অবস্থায় আছে, তা ছাড় দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশির ভাগই রয়েছে ফেডারেল রিজার্ভসহ একাধিক বিদেশি ব্যাংকে। তাছাড়া বেশ ভালো পরিমাণ স্বর্ণও মজুত আছে ফেডারেল রিজার্ভে। তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সেই অর্থ ফ্রিজ করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা নজরদারিতে রেখেছে মার্কিন বিভিন্ন দপ্তর ও বিদেশি সংস্থাগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের এক মুখপাত্র সম্পর্কে বলেছেন, মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা চালিয়ে যেতে মার্কিন সরকার ও মিত্রদেশগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে।

তবে মানবিক সহায়তা চালানোর অনুমোদন দেওয়া হলেও তালেবান বাহিনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে না বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ বিভাগের ওই মুখপাত্র। বহাল রাখা হয়েছে তাদের ওপর থাকা আর্থিক নিষেধাজ্ঞাও। ফলে, দেশের বাইরে থাকা নানা তহবিলে হাত দিতে পারবে না তারা।

ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আফগান নাগরিকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।’

এদিকে, মার্কিন রিজার্ভে অর্থ আটকে থাকার পাশাপাশি আফগানিস্তানে বন্ধ রয়েছে বিদেশি সহায়তাও। আটকে আছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও জাতিসংঘের অর্থ। নগদ অর্থের সংকট চলার কারণে আফগানিস্তানে খাবার, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের বিপর্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে মার্কিন রিজার্ভে জমা থাকা দেশটির অর্থ ছাড় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আরজি জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও মানবিক সংস্থা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দীর্ঘ সময়ের বোর্ড সদস্য শাহ মেহরাবি।

রয়টার্সকে এ বিষয়ে মেহরাবি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বর্তমান সংকট অনেক প্রকট। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এটি মানুষের জন্য আরও ঘনীভূত হয়ে উঠবে।’

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ