পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’র (আইএসআই) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ আজ শনিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।

তালেবান বাহিনী গোটা আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর গত তিন সপ্তাহে প্রথম কোনো উচ্চপদস্থ বিদেশি কর্মকর্তা হিসেবে জেনারেল হামিদ কাবুলে গেলেন। তার সঙ্গে রয়েছেন পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন সামরিক-সরকারি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল।

বিরোধী নিয়ন্ত্রিত পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবান ও স্থানীয় মিলিশিয়াদের তুমুল লড়াই এবং আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্বে নতুন সরকারের ঘোষণা আসার প্রাক্কালে পাকিস্তানের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আফগানিস্তানে গেলেন।

‘তালেবানের উত্থান পাকিস্তানের জন্য কী অর্থ বহন করে’ শিরোনামে বিবিসি লিখেছে, আফগানিস্তানের নতুন  সরকারকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে কিছু পশ্চিমা দেশ এই আশায় আছে যে, পাকিস্তান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে।

এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) পাকিস্তানের সাংবাদিক হামজা আজহার সালামকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুই দেশের ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য তালেবানের আমন্ত্রণে জেনারেল হামিদ কাবুল সফরে গেছেন। 

আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তান সরকার ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দীর্ঘদিন ধরে তালেবানকে সাহায্য করে আসছে বলে অভিযোগ আছে। যদি ইসলামাবাদ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।    

বিশ্লেষকদের অনেকে এটাও মনে করেন, পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গোটা আফগানিস্তানে তালেবানের একক আধিপত্য বিস্তারের পথ তৈরির ক্ষেত্রে পাকিস্তান, বিশেষ করে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান চালকের ভূমিকা পালন করছে। 

আফগানিস্তান-পাকিস্তানের অনন্য সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ২ হাজার ৫৭০ কিলোমিটারের। উভয় দেশই একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। অসংখ্য সাংস্কৃতিক, জাতিগত এবং ধর্মীয় সংযোগও রয়েছে দেশ দুটির মধ্যে।

এএস