চীনের পারমাণবিক বোমারুসহ অন্তত ১৯টি বিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তাইওয়ানে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার চীনা বিমানকে ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দিতে তাইওয়ানের বিমানবাহিনী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করায় ওই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের সামরিক বাহিনীর পারমাণবিক বোমারু বিমানসহ অন্তত ১৯টি বিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।

গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। এক বছর কিংবা তারও বেশি সময় ধরে এই দ্বীপের আশপাশে সামরিক কার্যক্রম বেইজিং বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করছে তাইওয়ান। এই দ্বীপের আশপাশে সাধারণ বিমানের চলাচল অব্যাহত রেখে শত্রুপক্ষের ওপর নজরদারি চালালেও প্রায়ই যুদ্ধ এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে চীন।

তাইওয়ান বলেছে, সর্বশেষ মিশনে চীনের সামরিক বাহিনীর ১০টি জে-১৬ ও চারটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান, চারটি এইচ-৬ বোমারু বিমান এবং একটি সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা নজরদারি ব্যবস্থাপনায় চীনা এসব বিমানের অনুপ্রবেশ শনাক্ত হয়েছে।

পরে চীনা সামরিক বিমানের বহরকে তাড়িয়ে দিতে সতর্কতামূলক হিসেবে তাইওয়ান একটি যুদ্ধবিমানের বহর মোতায়েন করে। একই সঙ্গে সেগুলো নজরদারি করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয় বলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

তাইওয়ানের প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা যায়, তাইওয়ান উপকূলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রাটাস দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায় চীনা বিমানের বহরটি উড়ছে। তবে সর্বশেষ এই মিশনের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে চীনের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

চীনের সামরিক বাহিনীর এ ধরনের বৃহৎ পরিসরের মিশন তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় শনাক্ত হয়েছিল গত ১৫ জুন। ওইদিন অন্তত ২৮টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে প্রবেশ করে।

গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান কিছু করলে অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয়ে সমর্থন জানালে চীন অসন্তুষ্টির জানান দিতে এ ধরনের মিশন পরিচালনা করে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অথবা সহায়তার বিরুদ্ধে তাইওয়ানকে চাপে ফেলতে বেইজিং আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সতর্ক করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
 
এসএস