সৌদি আরবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনসহ আকাশ থেকে হামলার সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে বিগত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরব থেকে তাদের সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নিয়েছে বলে জানাচ্ছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। 

রাজধানী রিয়াদের অদূরে অবস্থিত প্রিন্স সুলতান বিমানঘাঁটি থেকে এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়া হলো, যখন উপসাগরীয় আরব দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও নাগরিকদের উদ্ধার কার্যক্রম উদ্বেগভরা চোখে প্রত্যক্ষ করেছে।

ইরানকে মোকাবিলায় আরব উপদ্বীপজুড়ে এখনো হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকলেও উপসাগরীয় আরব দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তিত। কারণ মার্কিন সামরিক বাহিনী এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। যার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার খুব দরকার।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে ওয়াশিংটন বেরিয়ে যাওয়ার পর চুক্তিটি বাঁচিয়ে রাখার আশায় ভিয়েনায় পুনরায় যে আলোচনা শুরু হয়েছিল, তা ফের ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে ভবিষ্যতে দুই পক্ষের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে গেছে।  

টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসির রিসার্স ফেলো জেমস বেকার বলছেন, ‘এটা কোন বাস্তবতায় নিহিত তা জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ধারণাটি খুবই স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি ততটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, যেমনটা এই অঞ্চলের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের অনেকে মনে করে থাকেন।’ 

গবেষক জেমস বেকার উপসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে কয়েকটি মার্কিন প্রশাসনের হাল ছেড়ে দেওয়ার নীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, তারা বিগত এক যুগে ওবামা, ট্রাম্প এবং বাইডেন পরপর তিনজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখেছেন, যারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা কিছুটা হাল ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।’

এএস