যুদ্ধের সময়ে মার্কিন ও আফগান সেনার চোখ ফাঁকি দিয়ে কাবুলেই ছিলেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘ক্রমাগত চেষ্টার পরও ধরতে না পেরে আমেরিকা ও আফগান সেনারা আমাকে ভূত ভাবতে শুরু করেছিল। ভেবেছিল মুজাহিদ নামে হয়তো কেউ নেই। কিন্তু গোটা সময় ধরে আমি কাবুলেই ছিলাম। ছায়ার মতো ওদের পেছনেই ছিলাম।’

তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওসেরায় হাক্কানিয়া সেমিনারিতে পড়াশোনা করেছেন। সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠানটি তালেবান বিশ্ববিদ্যালয় নামেই পরিচিত। অনেকে আবার জেহাদের বিশ্ববিদ্যালয় বলেও নাম দিয়েছেন।

শুধু জাবিহুল্লাহ মুজাহিদই নন, আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হক্কানি থেকে শুরু করে পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী মোল্লা আবদুল লতিফ মনসুর, টেলিকম মন্ত্রী নাজিবুল্লা হক্কানি, শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আব্দুল বাকি হক্কানিও ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন বলে জানান তিনি।

মার্কিন সেনা যখন আফগানিস্তান আক্রমণ করে তখনও কাবুলে থেকে সংগঠনের কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেন মুজাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমাকে ধরার জন্য বহু তল্লাশি চালিয়েছে ওরা। প্রত্যেক বার আমিও ওদের চোখের সামনে থেকে পালিয়েছি। গোটা আফগানিস্তান ঘুরেছি। সব সময়ে সামনের সারির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের খবর দিতাম।’

তার খোঁজ পেতে স্থানীয়দের অনেক টাকা দিয়েছিল আমেরিকা সেনা। অনেক গুপ্তচর নিয়োগ করা সত্ত্বেও তাকে ধরতে পারেনি বলে দাবি করলেন জাবিহুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কোনো দিন আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করিনি। এমনকি আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবিনি।’

এমএইচএস