ভারতে করোনা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। সংক্রমণ-প্রাণহানি কমে আসার পাশাপাশি দেশটিতে বেড়েছে সুস্থতার হার, কমেছে সক্রিয় রোগীও। তবে পরিস্থিতির অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক দফা বাড়িয়েছে ভারত।

আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিলের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নতুন করে সেই মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)।

তবে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে দেশটির ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে ২৭টি দেশের এয়ার বাবল চুক্তি রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো কয়েকটি দেশ এই চুক্তির আওতায় রয়েছে। এক ধরনের সমঝোতার আওতায় এয়ার বাবল পদ্ধতি কাজ করে।

সংশ্লিষ্ট দুই দেশের পক্ষ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য আরটি পিসিআর টেস্ট এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রাখা হয়। ধারণা করা হচ্ছে- সংক্রমণ কমলেও কোভিড বিপর্যয়ের ঝুঁকি যতদিন না কমবে ততদিন এই এয়ার বাবল চুক্তি কার্যকর রাখা হবে।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ। তবে ২০২০ সালের মে মাস থেকে ‘বন্দে ভারত মিশন’-এর অধীনে বিশেষ আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে।

অবশ্য আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকলেও চালু থাকছে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা। তবে এই নিষেধাজ্ঞার মাঝেও বন্দে ভারত মিশনের মাধ্যমে কয়েক হাজার ভারতীয়কে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরিয়ে এনেছে ভারত সরকার।

এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা বুধবার ফের পৌনে চারশ ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। যদিও তা ২০ হাজারের নিচেই রয়েছে।

বুধবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৭০ জন মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৩৭৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫১ জন মারা গেছেন।

টিএম